এবার গুঞ্জন সত্যি প্রমাণিত হল। আজ, বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালচিনির সরকারি সভায় এসে হাজির হলেন নরেন্দ্র মোদীর ব্যাটেলিয়নের প্রাক্তন মন্ত্রী জন বারলা। এবার বাকি গুঞ্জন বা জল্পনাও সত্যি হতে চলেছে। কালচিনির সুভাষিনী চা বাগানে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠেই জন বারলার সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর হাসিমুখে এই সাক্ষাৎ এবং কথাবার্তা থেকে স্পষ্ট হল, তৃণমূল কংগ্রেসে আনুষ্ঠানিক যোগদান শুধু সময়ের অপেক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসনিক সভায় জন বারলার উপস্থিতি বিজেপির কপালে ভাঁজ ফেলেছে। সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেবেন বারলা। তবে এই নিয়ে কোনও কথা জানাননি জন।
এদিকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি টিকিট দেয়নি জন বারলাকে। আর তখন থেকেই দূরত্ব বেড়ে যায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জন বারলা এবং বিজেপি মধ্যে। দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে তাৎ সাক্ষাৎও করেন জন বারলা। কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় ফুলবদল ঘটল। জন বারলা নিজেই বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী সুযোগ দিলে একসঙ্গে কাজ করবেন।’ এদিন কালচিনির সভায় এসে হাসিমুখে সৌজন্য বিনিময় করেন বারলা। মুখ্যমন্ত্রীও পাল্টা সৌজন্য দেখান। তবে জন বারলার আজকের এই ঘটনা নিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘যাঁর যে রাজনৈতিক দল করার ইচ্ছা, সেটি তিনি করতেই পারেন। কেউ বাধা দিতে পারে না। তাই কিছু বলার নেই। উনি কী সিদ্ধান্ত নেন সেটা দেখে যা বলার বলব।’
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ২০২৬ নির্বাচন, সংগঠনে মহিলা মুখ বাড়িয়ে নারী নির্যাতনকে প্রচারে আনছে বিজেপি
অন্যদিকে কালচিনির সুভাষিনী চা–বাগানে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর সোজা চলে যায় মঞ্চে। সেখানে কথা বলেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল–সহ দলের অন্যান্যদের সঙ্গে। তখন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখেই হাতজোড় করে প্রণাম করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। কয়েক সেকেন্ড কথা হয় দু’পক্ষের মধ্যে। তারপর মঞ্চ থেকে জন বারলার নাম ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় যোগ দিতে নয়াদিল্লি থেকে বুধবার উত্তরবঙ্গে ফেরেন জন বারলা।
এছাড়া আজ, বৃহস্পতিবার জন বারলাকে দেখা গেল মুখ্যমন্ত্রীর সভায়। তবে তাঁর যে পরবর্তী ধাপ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়া সেটা স্পষ্ট হয়ে গেল। ২০১৯ সালে আলিপুরদুয়ার থেকে জিতে বিজেপির সাংসদ হন জন বারলা। কিন্তু ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে দেন জন বারলা। সেটা আজ অনেকটা বেড়ে গেল। বিজেপির এই প্রাক্তন সাংসদই একদা রাজ্য ভাগের দাবি তুলেছিলেন। যার সম্পূর্ণ বিরোধিতা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই তিনিই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভায়।