আজ, বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানের কাজ দেখে অত্যন্ত খুশি মুখ্যমন্ত্রী। তাই আজ দিঘা থেকে জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর থেকেই পর্যটকদের ভ্রমণ পরিকল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। সবার আগে হাজির হতে হবে এবং পুজো দিতে হবে এই মনোভাব নিয়েই চলছে পরিকল্পনা। এখানে আনুমানিক ২০ একর জায়গার উপর তৈরি হচ্ছে দিঘার ‘জগন্নাথ ধাম’। একদিকে মন্দির অপরদিকে সমুদ্র এবং তার সঙ্গে খাওয়াদাওয়া সব একসঙ্গে মিলবে। ২০২৫ সালের অক্ষয় তৃতীয়ায় উদ্বোধন হলেই পর্যটকদের কাছে ‘আধ্যাত্মিক ডেস্টিনেশন’ হয়ে উঠবে দিঘা।
কিন্তু এখানেই একটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সেটা হল—পুরীতে জগন্নাথ মন্দির, সমুদ্র সঙ্গে মেলে মিষ্টি খাজা। যা অত্যন্ত জনপ্রিয়। সেটা পুরী বেড়াতে গেলে অনেকেই কিনে আনেন বাংলায়। সেরকম দিঘায় কি খাজা মিলবে? ২০২৫ সাল থেকে দিঘারও নতুন পরিচয় ‘আধ্যাত্মিক ডেস্টিনেশন’। তাহলে খাজা তো পাওয়া উচিত। কারণ দিঘায় এখনই পাওয়া যায় সমুদ্রের সামনে মাছ ভাজা। তাই উপভোগ করে থাকেন পর্যটকরা। জগন্নাথ মন্দির তো এবার দিঘায় মিলছে। কিন্তু পুরীর মতো খাজাও কি পাওয়া যাবে সৈকতনগরী দিঘায়?
আরও পড়ুন: ‘বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে একদল’, বাংলাদেশ নিয়ে কড়া মমতা
তবে পর্যটকদের এই কৌতূহল নিরসন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘খাজা পুরীর একটা বিশেষত্ব। বাংলারও তেমন বিশেষ কিছু জনপ্রিয় মিষ্টি রয়েছে। গজা, ক্ষীরের গজা, গুজিয়া অথবা কালীঘাটের প্যারা। এই সমস্ত কিছুই দিঘায় পাবেন পর্যটকরা। আর তা পেয়ে খুশি হবেন পর্যটকরা। মিষ্টি খেতে কে না ভালবাসে।’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের পরই খাজার অভাববোধ করলেও বাকি মিষ্টিগুলি সেই স্বাদ মিটিয়ে দেবে বলে আশা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে অদূর ভবিষ্যতে খাজা মিলতেও পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
আগামী ৩০ এপ্রিল অক্ষয় তৃতীয়া। সে দিন দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধন হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে সূত্রের খবর। ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে মাথায় রেখে একটি ট্রাস্টি তৈরি করা হয়েছে। তাতে জেলাশাসক থেকে পুলিশ সুপার অনেকেই থাকবেন। আছেন ইসকনের প্রতিনিধি, সনাতনী সমাজের প্রতিনিধি, স্থানীয় পুরোহিতদের প্রতিনিধিরাও। এই মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। হিডকোর প্রতিনিধিও তাই আছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘মন্দিরের সিংহভাগ কাজ শেষ। সামান্য বাকি আছে। তিন মাস আর সময় লাগবে। তাই আগামী রথযাত্রায় পর্যটকদের নতুন ঠিকানা হবে দিঘা।’