বাংলাদেশের অশান্তির আবহে বাংলাকে নিয়েও নানা কটূ মন্তব্য উড়ে আসছে ওপার বাংলা থেকে। এপার বাংলার কলকাতা দখল থেকে শুরু করে দেখে নেওয়ার হুমকি সবই শোনা যাচ্ছে। জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা হুমকি উড়ে এসেছিল পদ্মাপার থেকে। সেখানে এবার দিঘায় এসে কড়া জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নানা ভিডিয়ো এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। যা থেকে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে। তাতে বাংলার মাটিতে যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে। এটা নিয়েই ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ, বুধবার দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের কাজ পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই তিনি বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মুখ খোলেন। আর ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়া নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের অশান্তিকে হাতিয়ার করে বাংলাকে উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো বেশ কিছু ভিডিয়ো ছড়িয়েছে। সেগুলিকে ব্যবহার করে বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু যারা ফিরতে চান, বর্ডার খোলাই রয়েছে, ভিসাও পাওয়া যাচ্ছে। তাঁরা যেন দ্রুত ফিরে আসেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের।’
আরও পড়ুন: ‘আমার ভুল হয়ে গিয়েছে’, তৃণমূল সুপ্রিমোকে চিঠি লিখতেই দূরত্ব কমে এল সুখেন্দুর
বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে শান্তি ফিরে আসেনি বলে অভিযোগ। হিন্দুদের উপর লাগাতার অত্যাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ। তাই ভারতের বিদেশ সচিব বাংলাদেশে গিয়ে বৈঠক করেন। কিন্তু বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির ঘুরে দেখার পর মুখ্যমন্ত্রীর সাফ বক্তব্য, ‘বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকার দেখছে। যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার সেটা ভারত সরকার নেবে। ইতিমধ্যেই প্রতিনিধি পাঠানো হয়েছে। দু’দেশের বৈঠকও হয়েছে। বাংলাদেশের অশান্তিকে হাতিয়ার করে বাংলাকেও উত্তপ্ত করার চেষ্টা চলছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেক ভিডিয়ো ছড়ানো হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করছে একদল।’
ইতিমধ্যেই বিরোধী দল বিজেপি সীমান্তে গিয়ে নানা উত্তপ্ত বক্তব্য রাখছে। কখনও রাফাল চালানোর কথা তো কখনও সিভিক ভলান্টিয়ারই যথেষ্ট ওদের মোকাবিলা করার জন্য বলে মন্তব্য করছেন বিজেপি নেতারা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘হিন্দুদের উপর নির্যাতন কখনই মেনে নেব না। ভারত সরকার সব ব্যবস্থা করছে। বর্ডার খোলাই রয়েছে। ভিসাও পাওয়া যাচ্ছে। যাঁরা আক্রান্ত তাঁরা বাংলায় চলে আসুন।’