রাত পোহালেই নেতাজি জয়ন্তী। দেশনায়কের জন্মদিনে মেতে উঠবে গোটা রাজ্য। এই আবহে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা পালন করবেন উত্তরবঙ্গে। আর তাই জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মমুহূর্ত পালন করার আহ্বান করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বুধবার আলিপুরদুয়ারে প্রশাসনিক সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানের ওই মঞ্চ থেকে এই বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরবঙ্গে এবার নেতাজির জন্মদিন প্রতি ব্লকে পালনের কথাও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষ্যে এখন সেজে উঠেছে গোটা বাংলা। রাত পোহালেই ২৩ জানুয়ারি। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন। এবার ১২৮তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। দুপুর ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ নেতাজি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবার ওই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে উত্তরবঙ্গে বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি দেবেন ওই সময়ে। নেতাজির জন্মমুহূর্তকে উদযাপন করতে হবে উত্তরবঙ্গে। বাড়ির মহিলাদের কাছে আমার আবেদন, আগামীকাল বেলা সওয়া ১২টা নাগাদ শাঁখ বাজাবেন। উলুধ্বনিও দেওয়া যেতে পারে।’
আরও পড়ুন: ‘কার অনুমতিতে এসব হচ্ছে? জমিদারি নাকি?’ পর্যটকদের থেকে টাকা নেওয়ায় ক্ষুব্ধ মমতা
প্রত্যেক বছরই নেতাজির জন্মদিনকে ‘দেশনায়ক দিবস’ হিসাবে পালন করে রাজ্য সরকার। কলকাতায় থাকলে মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই দিনে প্রত্যেক বছর নেতাজিকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন। কিন্তু এখন উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী আলিপুরদুয়ারে থাকবেন। সেখানেই তিনি নেতাজির জন্মদিন পালন করবেন। ওই বিশেষ দিনে সকল সম্প্রদায়ের মানুষকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের আজান দেওয়ার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। খ্রিষ্টান ধর্মাবল্মীদেরও এগিয়ে আসতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এই সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে এবার জন্মজয়ন্তী পালনের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার বলা সত্ত্বেও নেতাজির জন্মদিনকে ‘জাতীয় ছুটি’ হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। দেশের স্বাধীনতা আনতে নেতাজি উত্তরবঙ্গেও নানা সময় কাটিয়েছেন। বহু গোপন বৈঠক করেছেন। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর বড় ভূমিকা উল্লেখ রয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘শাঁখ–উলুধ্বনি দিয়ে নেতাজির জন্মমুহূর্তকে উদযাপন করতে হবে। নেতাজির জন্মদিনকে ‘জাতীয় ছুটি’ হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করুক। যদিও কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করেনি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রত্যেক বছর এই দিনকে স্মরণ করে।’