কয়লা পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা আত্মসমর্পণ করলেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন লালা। উল্লেখ্য, এর আগে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছিল লালাকে। শীর্ষ আদালত জানিয়েছিল, সিবিআই লালাকে গ্রেফতার করতে পারবে না বা তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করতে পারবে না। এদিকে সিবিআই বিশেষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে দ্রুত কয়লা পাতার মামলার তদন্ত শেষ করতে হবে। এই আবহে ২১ মে এই মামলায় চার্জশিট পেশ করার কথা সিবিআই-এর। এই আবহে চার্জশিট পেশের এক সপ্তাহ আগে সিবিআই বিশেষ আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন অনুপ মাঝি। রিপোর্ট অনুযায়ী, জামিনের আর্জি নিয়ে এদিন আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন লালা। এর আগে দীর্ঘদিন গা ঢাকা দিয়ে ছিলেন তিনি। (আরও পড়ুন: নির্বাচনের মাঝেই 'অঙ্ক' কষে বাংলায় বিজেপির আসন সংখ্যা বাতলে দিলেন অমিত শাহ!)
আরও পড়ুন: বাড়বে বেতন? মুখ্যমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মীরা, অপেক্ষা ১২ জুনের
এর আগে লালা সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ পাওয়ায় আসানসোলের বিশেষ আদালতে সিবিআই প্রশ্ন তুলেছিল, লালাকে জেরা না করে চার্জশিট পেশ কীভাবে সম্ভব হে। এই আবহে সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী বলেছিলেন, লালার গ্রেফতারিতে বাধা থাকলেও জেরায় কোনও বাধা নেই। এরপরই সিবিআই লালার খোঁজ শুরু করেছিল। তবে লালাকে খুঁজে পায়নি সিবিআই। আর গতকাল আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ভোট মিটতেই আজ, মঙ্গল সকালে সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন লালা। (আরও পড়ুন: 'পাকিস্তানকে চুড়ি পরিয়ে দেব', বিরোধীদের 'কাপুরুষ' আখ্যা দিয়ে তোপ মোদীর)
আরও পড়ুন: চাবাহার নিয়ে ভারত-ইরান চুক্তিতে তেলেবেগুনে জ্বলল USA, দিল নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি
এদিকে সিবিআই-এর পাশাপাশি কয়লা পাচার মামলার তদন্ত করছে ইডি। সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই-এর মামলায় লালাকে রক্ষাকবচ দিলেও ইডির মামলায় তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। এই আবহে আজ লালা আত্মসমর্পণ করায় ইডি তাঁকে গ্রেফতার করবে কি না, তা ঘিরে জল্পনা তৈরি হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে রেলের বিভিন্ন সাইডিং এলাকা থেকে কয়লা চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল বিগত ২০২০ সালে। এই আবহে আয়কর দফতর এই নিয়ে নড়েচড়ে বসে। পরে এই নিয়ে তদন্তে নামে সিবিআই। সেই সময়ই লালার বাড়ি, অফিসে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। তাঁর বিপুল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই মামলায় লালা ঘনিষ্ঠ চারজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল। পরে তিনজন জামিন পেয়ে যান। তবে গুরুপদ মাঝি নামক এক লালা ঘনিষ্ঠ জামিন পাননি। তিনি দিল্লির চিহাড় জেলে বন্দি।
আরও পড়ুন: পুজোর আগে সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে অবশেষে আসতে পারে বড় খবর
এদিকে অভিযোগ ওঠে, লালার সঙ্গে যোগ রয়েছে গরু পাচারের 'মাথা' এনামুল হকের। লালা নাকি কয়লা পাচারের জন্য এনামুলের সাহায্য নিতেন। এছাড়া এই কয়লা পাচারের সঙ্গে পুলিশ-প্রশাসন, ইস্টার্ন কোল্ডফিল্ড, রেল কর্তাদের একাংশের যোগ রয়েছে লালার সূত্রে। এই মামলায় য় তদন্তকারী সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই আবহে লালার আত্মসমর্পণে এই মামলায় নয়া মোড় আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।