রাজ্যে কতগুলি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে? কতজনের মৃত্যু হয়েছে? তা জানাতে পারলেন না খোদ রাজ্যের দমকলমন্ত্রী। সেজন্য বিধানসভার অধিবেশনে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। বিষয়টি নিয়ে সুজিত অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
মঙ্গলবার বিধানসভার অধিবেশনের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আবদুল খালেক মোল্লা প্রশ্ন করেন, চলতি বছরের ৩১ অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে মোট কতগুলি আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে? সেই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত জানান, বিষয়টি নিয়ে আপাতত তাঁর কাছে কোনও পরিসংখ্যান নেই।
সেই জবাবের পরই ভর্ৎসনার মুখে পড়েন সুজিত। রাজ্যের দমকলমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিধানসভার স্পিকার প্রশ্ন করেন, এটা কী বলছেন? আগুন লেগে কতজনের মৃত্যু হয়েছে, সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান কেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রীর কাছে থাকবে না? এবার থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত তথ্য-পরিসংখ্যান জেনে রাখার নির্দেশ দেন স্পিকার। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি দমকলমন্ত্রী সুজিত। যিনি সাধারণ কলকাতার কোথাও বড় আগুন লাগলে এলাকা পরিদর্শনে যান।
এমনিতে পশ্চিমবঙ্গে আগুন লাগার ঘটনা কোনও নতুন বিষয় নয়। মঙ্গলবারই মালদহের মানিকচক থানার নুরপুর গ্রামের একটি তুলোর কারখানায় আগুন লেগেছে। সেই ঘটনায় কমপক্ষে আটটি বাড়ি পুড়ে গিয়েছে। গত শুক্রবার কলকাতায় তপসিয়ায় আগুনে পুড়ে গিয়েছিল ঝুপড়ির একাংশ। সেদিনই বিকেলে রাজ্যের সচিবালয় নবান্নের কাছেই পূর্ত দফতরের তারের গুদামে আগুন লাগে। নবান্নে প্রবেশের মুখে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডের নীচে পূর্ত দফতরের তারের গুদামে আগুন লাগে। আগুন লেগে আওয়াজ করে ফাটতে থাকে তারগুলি।