এতদিন ড্রোনের মাধ্যমে শুধু নজরদারি করতে পারত পুলিশ। এবার ড্রোনের মাধ্যমে বড় ধরনের কোনও বিক্ষোভ বা জমায়েতে অশান্তি ছড়ালে দূর থেকেই ছত্রভঙ্গ করতে পারবে। তার জন্য বারুইপুর পুলিশের হাতে এল অত্যাধুনিক ড্রোন। এই ড্রোন ব্যবহার করে শর্ট রেঞ্জ ট্রিয়ার শেল, লং রেঞ্জ ট্রিয়ার শেল বা স্টান সেল ফাটানো যাবে। ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে এই ড্রোন উড়িয়েছে পুলিশ। সফল হলেই কাজে লাগানো হবে এই ড্রোন।
আরও পড়ুন: পঞ্জাবের পাক সীমান্তে ২০০ ড্রোন পাকড়াও BSFর! মাদক, অস্ত্র পাচারের ছক?
আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, হিংসা বা অশান্তির ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে এই ড্রোন ব্যবহার করা হবে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ড্রোনের ওজন ২২ কেজি। এর পাশাপাশি ড্রোনে মাইক এবং সার্চলাইটও রয়েছে, আছে নাইট ভিশন ক্যামেরা। এছাড়াও আরও বিভিন্ন প্রযুক্তি।ব্যাটারি চালিত ড্রোনটি ৪০ মিনিট ধরে উড়তে সক্ষম। দুজন অপারেটরের মাধ্যমে এই ড্রোন ওড়ানো যাবে। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সফল হলে ‘ভিড় নিয়ন্ত্রক’ নামে পরিচিত এই ড্রোনটি রাজ্যজুড়ে ব্যবহার করা হবে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদ আন্দোলনকে ঘিরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় হিংসা ছড়িয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে পুলিশের এমন উদ্যোগ।
জানা গিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার এই ড্রোন পরীক্ষামূলকভাবে ওড়ানো হয়েছে বারুইপুরের টংতলায়। সেখানে পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।পরীক্ষার সময় ড্রোন থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়। এছাড়াও, নাইট ভিশন ক্যামেরা লাগানো থাকায় রাতেও টহল দেওয়ার জন্যও এই ড্রোন ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অধ্যাধুনিক এই ড্রোনের এর রেঞ্জ ২ কিমি।
শুধু তাই নয়, অশান্তি সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করতে এই ড্রোনে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। যার মাধ্যমে কালি ছিটিয়ে অভিযুক্তকে শনাক্ত করবে ড্রোনটি। এডিজি স্তরের একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, এই ড্রোন যেহেতু যথেষ্ট উচ্চতা থেকে পরিচালিত হবে ফলে এটি ব্যবহার অনেক বেশি নিরাপদ হবে। প্রাথমিকভাবে প্রথম পর্যায়ে ছয়টি এই ধরনের ড্রোন কেনার পরিকল্পনা হয়েছে। পরে অন্যান্য জেলায় এই ড্রোন ব্যবহার করা হবে।