সাধারণ উর্দির পরিবর্তে অন্তঃসত্ত্বা পুলিশকর্মী ও অফিসাররা সালোয়ার-কামিজ পরতে পারবেন। এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে। ইনস্পেক্টর পদমর্যাদা পর্যন্ত মহিলা পুলিশকর্মী ও অফিসাররা সেই সুবিধা পাবেন। অর্থাৎ তাঁদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে পুলিশের উর্দি পরার নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। যাঁরা সাধারণত শাড়ি বা শার্ট-ট্রাউজার্স পরে থাকেন। রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দ্বাদশ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা পুলিশকর্মী ও অফিসাররা সালোয়ার-কামিজ পরতে পারবেন। সন্তান জন্মের পরে দ্বাদশ সপ্তাহ পর্যন্ত তাঁরা সেই সুযোগ পাবেন বলে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। আর সেই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের তৃতীয় রাজ্য হিসেবে মহিলা পুলিশ অফিসারদের ক্ষেত্রে এরকম নিয়ম চালু করল পশ্চিমবঙ্গ। বাংলার আগে সেই নিয়ম চালু করা হয়েছে তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ বাহিনীতে।
কেন সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল?
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা এবং সদ্য মা হওয়া পুলিশকর্মী ও অফিসারদের পুলিশের নির্ধারিত উর্দি পরতে কিছুটা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেই বাস্তবিক সমস্যার বিষয়টি বিবেচনা করেই তাঁদের ক্ষেত্রে উর্দি পরার নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়েছে। কারণ ওই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনেকেই ডিউটিতে থাকতে চান। তাঁরা এখন উর্দি পরার পরিবর্তে সালোয়ার-কামিজ পরতে পারবেন বলে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
কীরকম পোশাক পরতে পারবেন মহিলা পুলিশকর্মী ওঅফিসাররা?
প্রথমত, নির্ধারিত সময়সীমার (অন্তঃসত্ত্বা পর্যায়ের দ্বাদশ সপ্তাহ থেকে সন্তান জন্মের পরে দ্বাদশ সপ্তাহ পর্যন্ত) মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মী ও অফিসাররা সাদা বা খাঁকি রঙের কামিজ পরতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, টেরিকোটের কামিজ হবে।
তৃতীয়ত, কামিজের গলা ‘ভি’ আকৃতির হবে। পোলো কলার হবে কামিজের।
চতুর্থত, কাঁধে বেষ্টনী বা ফ্ল্যাপ পরতে হবে। সেই ফ্ল্যাপে সংশ্লিষ্ট মহিলা পুলিশকর্মী ও অফিসারের ব্যাজ থাকবে।
পঞ্চমত, কামিজের দৈর্ঘ্য হাঁটু পর্যন্ত হতে হবে।
ষষ্ঠত, মহিলা পুলিশকর্মী ও অফিসাররা সালোয়ার বা সোজা প্যান্ট পরতে পারবেন।
শীতের সময় কী পরতে পারবেন?
রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মহিলা পুলিশকর্মী ও অফিসাররা যেমন জ্যাকেট পরেন, সেটা পরতে পারবেন। সেইসঙ্গে রাজ্য পুলিশের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে অন্তঃসত্ত্বা পুলিশকর্মী ও অফিসারদের যেন কর্মক্ষেত্রে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়, তাঁদের কাজের জন্য যেন উপযুক্ত পরিবেশ বজায় রাখা হয় এবং তাঁদের যেন সবরকমের সহযোগিতা করা হয়।