পাশের হার ঘোষণার পরই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস বলে উঠলেন ‘ঐতিহাসিক’। সত্যিই ঐতিহাসিক! গত বছরের পাশের হার শুধু বাড়েইনি, ৩.৮৪ শতাংশ বেড়ে তা ৯০.১৩ শতাংশ পৌঁছে গিয়েছে। যা সর্বকালীন রেকর্ড।
শুধু পাশের হার বেড়েছে, তা নয়। বেড়েছে পড়ুয়াদের নম্বর, প্রথম ডিভিশনের সংখ্যা। গতবারের থেকে সর্বোচ্চ নম্বরও এক বেড়েছে। সেবার তো মেধাতালিকায় কার্যত ‘এভারেস্ট জ্যাম’ লেগে গিয়েছিল বলে কথা ছড়িয়ে পড়েছিল। এবার মেধাতালিকা প্রকাশিত না হওয়ায় গতবারের রেকর্ড (প্রথম দশে ১৩৭) ছাপিয়ে গিয়েছে কিনা, তা নিয়ে এখনই পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়। তবে এবারও প্রথম দশে পড়ুয়ার সংখ্যা খুব একটা কম নয় বলেই প্রাথমিকভাবে খবর।
আপডেট :
১) কোনও মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে না।
২) শুরু হল আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ। ফল ঘোষণা করছেন সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস।
৩) গত গত ৭ মে থেকে অফিসে কাজকর্ম শুরু হয়। কিন্তু পরিবহন স্বাভাবিক না থাকায় মূল্যায়নের কাজ ব্যাহত হয়। সব উত্তরপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। সঠিকভাবে মূল্যায়নের কাজ হয়েছে বলে জানালেন সংসদ সভাপতি।
৪) ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। প্রায় ৩৬,০০০ল বেশি।
৫) ৩১ অগস্ট পর্যন্ত স্ক্রুটিনি এবং রিভিউ করা যাবে। শুধুমাত্র যেগুলির পরীক্ষা হয়েছে, সেগুলির শুধু। অনলাইনেই হবে। আজ রাত থেকে সেটি সংসদের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এবার স্ক্রুটিনির জন্য ৬০ টাকার পরিবর্তে ৫০ টাকা নেওয়া হবে। রিভিউয়ের জন্য ১০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৭৫ টাকা করা হয়েছে। আপাতত এবারের জন্য এই সিদ্ধান্ত।
৬) প্রতিটি বিষয়ে সম্পূর্ণ ফল পাওয়া যাবে। মার্কশিটের রেপ্লিকা আজ হাতে পাবেন পড়ুয়ারা।
৭) আগামী ৩১ জুলাই দুপুর ২ টো থেকে সংসদের ৫২ টি ক্যাম্প থেকে মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট বিতরণ করা হবে। অভিভাবকরা এলে ভালো, নাহলে পড়ুয়ারা আসতে পারেন।
৮) মোট পরীক্ষার্থী ৭ লাখ ৭৫ হাজার। পরীক্ষায় বসেছে ৭ লাখ ৬১ হাজার। পাশ করেছেন ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৭ জন। পাশের হার ৯০.১৩ শতাংশ। ছাত্রদের পাশের হার ৯০.৪৪ শতাংশ। মেয়েদের পাশের হার ৯০ শতাংশ।
৯) মোট পরীক্ষার্থীর ৫০ শতাংশের বেশি প্রথম ডিভিশন।
১০) ৯০-১০০ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছেন ৩০,২২০ জন। ৮০-৮৯ শতাংশের মধ্যে নম্বর পেয়েছেন ৮৪, ৭৪৬ জন। যা গতবারের থেকে প্রায় ৩৬,০০০ বেশি।
১০) বিজ্ঞানে পাশের হার ৯৮.৮৩ শতাংশ
১০) বাণিজ্যে পাশের হার ৯২.২২ শতাংশ।
১১) কলা বিভাগে ৮৮.৭৪ শতাংশ।
১২) কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া, কালিম্পং, নদিয়ায় পাশের হার অভূতপূর্ব বলে জানিয়েছেন সংসদ সভাপতি।
১৩) উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি টুইটবার্তায় তিনি বলেন, ‘উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়েছে। সুন্দর জীবনের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে যাচ্ছে পড়ুয়ারা। তাদের অধ্যক্ষ, শিক্ষক এবং অভিভাবক-সহ সবাইকে অভিনন্দন। তোমাদের অপেক্ষায় রয়েছেন ভবিষ্যৎ।’
ফল প্রকাশের পূর্ববর্তী আপডেট :
১) ঠিক তিন ঘণ্টা পরেই প্রকাশিত হবে এবাবের মাধ্যমিকের ফল।
২) করোনাভাইরাস আবহে এবার ফল প্রকাশের দিন মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দেওয়া হবে না। আগামী ৩১ জুলাই দুপুর ২ টো থেকে সংসদের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে সেই নথি বিতরণ করা হবে। তারপর যত দ্রুত সম্ভব পরীক্ষার্থী বা অভিভাবকদের ডেকে সামাজিক দূরত্বের বিধি পালন করে মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩) বাকি নেই আর দু'ঘণ্টাও। অন্যবার সকালেই প্রকাশিত হয় রেজাল্ট। কিন্তু এবার বিকেলে প্রকাশিত হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের টেনশন আরও বাড়ছে।
৪) ৬০ মিনিটও পড়ে নেই হাতে। তারপরই আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত হবে উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট।
৫) গত বছর উচ্চ মাধ্যমিকে (WBCHSE Class 12th Result 2019) সার্বিক পাশের হার ছিল রেকর্ড ৮৬.২৯ শতাংশ।
৬) পাশের হারে এগিয়ে ছিল পূর্ব মেদিনীপুর (৯৪.১৯ শতাংশ)। তারপরেই ছিল কলকাতা (৯১.৪১ শতাংশ), পশ্চিম মেদিনীপুর, কালিম্পং-সহ ইত্যাদি জেলা।
৭) প্রথম হয়েছিলেন দু'জন - কোচবিহার জেনকিন্স স্কুলের রাজর্ষি বর্মণ এবং বীরভূম জেলা স্কুলের শোভন মণ্ডল। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৯৮। দু'জনেই বিজ্ঞান বিভাগের পড়ুয়া ছিলেন। ৪৯২ নম্বর পেয়ে কলা বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন সাঁইথিয়া টাউন হল স্কুলের রাকেশ দে। তিনি সার্বিকভাবে চতুর্থ হয়েছিলেন। বাণিজ্য বিভাগে প্রথম হয়েছিলেন ন্যাশনাল হাইস্কুলের কোমল সিং এবং জ্ঞানভারতী বিদ্যামন্দিরের কমল সাহু। ৪৮৬ নম্বর পেয়ে তাঁরা সামগ্রিকভাবে মেধাতালিকায় দশম স্থানে ছিলেন।
৮) সবমিলিয়ে প্রথম দশে ছিলেন ১৩৭ জন।
৯) ১৫ মিনিটও বাকি নেই ফল প্রকাশের।