শান্তিপুরে উপনির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। বুধবার শান্তিপুরে প্রচারে এসে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেই গেলেন, ‘এখানে তো আমরা জিতেই আছি। গত বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে জিতেছিল বিজেপি। এবারেও জিতব।’
এদিন শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে আসেন শান্তনু ঠাকুর। প্রচারে এসে এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মানুষের অভাব অভিযোগের কথা জানতে চান। এলাকার মানুষ জানান, এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। রাস্তায় আলো হলে খুব ভালো হয়। এলাকায় শৌচাগার তৈরি করারও দাবি তোলা হয়। এদিন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আশ্বাস দেন, এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা তিনি করে দেবেন। মানুষ যাতে বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেন, সেই আবেদনও জানান শান্তনুবাবু। এরপর সাংবাদিকদের কাছে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জানান, গত বিধানসভা ভোটে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে বিপুল ভোটে জয়লাভ করিয়েছে শান্তিপুরের মানুষ। এবারও বিজেপি এখানে জয়লাভ করবে। আপামর শান্তিপুরের মানুষের মঙ্গলার্থে বিজেপি এখানে জয়লাভ করবে।
৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন। একবার বিজেপিকে মানুষ জয়লাভ করিয়েছে। ফের কী মানুষ বিজেপির ওপর ভরসা রাখবে? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য সযত্নে এড়িয়ে গিয়েছেন শান্তনু ঠাকুর। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি কোনও বিতর্কের মধ্যে যেতে চাই না। ওপার থেকে আসা মানুষের সিএএ একমাত্র কেন্দ্রীয় সরকার দিতে পারে। শান্তিপুরে বেশিরভাগ মানুষ ওপার থেকে আসা। তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য বিজেপির এখানে জয়লাভ করা প্রয়োজন। বিজেপি এখানে জয়লাভ করবে।’ এদিন হুটখোলা জিপে বিজেপি প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে প্রচার সারেন শান্তনু। তবে এদিন অবশ্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কোনও বক্তব্য রাখতে চাননি শান্তনু। উল্লেখ্য, শান্তিপুরই একমাত্র কেন্দ্র যেখানে তৃণমূল, বিজেপির পাশাপাশি ভোটের ময়দানে নেমেছে সিপিএম ও কংগ্রেস।