করোনায় আক্রান্তের দেহ সৎকারে যখন কেউ এগিয়ে আসছে না তখন পাশে থাকছে সরকার। কিন্তু এক্ষেত্রেও উঠছে নানা অভিযোগ। মূলত চরম অব্য়বস্থার অভিযোগ। পুরুলিয়ার তেলকলপাড়া শ্মশানে এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে একেবারে সরগরম অবস্থা। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়া অন্তত দুজন ব্যক্তির পরিবারের অভিযোগ 'হাসপাতালে মৃত্যুর পর সরকারি নিয়ম মেনেই করোনায় মৃতদের দেহ আনা হয়েছিল শ্মশানে। এদিকে চুল্লি না থাকায় কাঠেই পোড়াতে হবে দেহ। কিন্তু শ্মশানে না আছে কাঠ, না আছে ধুনো। সরকারি কর্মীদের নির্দেশ মতো সেসবের জোগাড় করেন পরিবারের লোকজন। পরিবারের দাবি,'এত তেল এনে দিলাম, তবু ওরা বলছে ধুনো নেই, কাঠ ভিজে।' পরিবারের দাবি, 'আধখানা দেহ পুড়ে বাকিটা পড়ে থাকল। নানা অজুহাত দেওয়া হচ্ছে। সরকারি কর্মীরা বলছেন, তেল নেই, বডি পুড়ছে না। কিন্তু সরকারের এত টাকা যাচ্ছে কোথায়?' প্রশ্ন তুলেছে মৃতের পরিবার।
তবে সৎকারে নিযুক্ত কর্মীদের দাবি,' মৃতদেহ যথাযথভাবেই সৎকারের চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু তেল না থাকায় দেহ পুড়তে সময় লাগছে। কাঠও ভিজে রয়েছে। সেকারণে ডিজেল ঢেলে পোড়াতে হচ্ছে। সেকারণে কিছুটা দেরি হয়ে যাচ্ছে।' তবে প্রশাসন সূত্রে খবর, করোনায় আক্রান্তের দেহ যাতে মর্যাদার সঙ্গে সৎকার করা হয় সেব্যাপারে নোডাল অফিসারও রাখা হয়েছে। তবে পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।