বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে যেন কোনও ভাবে আমরা কষ্ট না দিই, মহুয়াকে পরামর্শ সায়নীর

মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে যেন কোনও ভাবে আমরা কষ্ট না দিই, মহুয়াকে পরামর্শ সায়নীর

মেদিনীপুরে দলের কর্মসূচির শেষে তখন সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা শেখাচ্ছেন যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ।

এদিন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সায়নী। মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া চান সাংবাদিকরা। প্রশ্নের জবাব দেওয়ার বদলে সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা শেখানো শুরু করেন শিবকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা সায়নী।

এ যেন ভূতের (পড়ুন পেত্নির) মুখে রাম নাম। কালীকে নিয়ে মহুয়া মৈত্র মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই কারও ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করে এমন কথা বলা উচিত নয় বলে মন্তব্য করলেন যুব তৃণমূল সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। বুধবার মেদিনীপুর শহরে প্রদ্যুৎ স্মৃতি ভবনে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় এই মন্তব্য করেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, শিবকে নিয়ে বিতর্কিত টুইট করার সময় সায়নীদেবীর এই চেতনা কোথায় ছিল?

এদিন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন সায়নী। মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া চান সাংবাদিকরা। প্রশ্নের জবাব দেওয়ার বদলে সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা শেখানো শুরু করেন শিবকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করা সায়নী। বলেন, এখানে যে বিষয়ে কর্মসূচিতে যোগদান করেছেন সেই বিষয়ে প্রশ্ন করতে। কিন্তু সাংবাদিকরা হাল ছাড়েননি। ঘুরিয়ে তাঁকে একই প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। এর পর ইংরাজি মেশানো বাংলায় নিজের বিদগ্ধতার বহিঃপ্রকাশ ঘটান সায়নীদেবী।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘একটি গণতন্ত্রে ফ্রি স্পিচের যেমন জায়গায় আছে, ক্রিয়েটিভিটির যেমন জায়গা আছে, তেমনই আমাদের মনে রাখা উচিত, মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগে যেন কোনওভাবে আমরা কষ্ট না দিই। আরও রেসপন্সিবল আমাদের সবার হওয়া উচিত। উই শ্যুড অ্যাক্ট ওয়াইসলি।’

বলে রাখি, শিবকে নিয়ে অবমাননাকর ছবি টুইট করার অভিযোগে মহুয়ার মতোই বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সায়নী। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে সেই টুইট ঘিরে সারা রাজ্য তোলপাড় হয়। ২০১৫ সালের শিবরাত্রিতে করা সেই টুইট নিয়ে সায়নী তখন সাফাই দিয়ে বলেছিলেন, তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক হয়েছে। এর পর হঠাৎ তৃণমূলে যোগ দেন সায়নী। রাতারাতি তাঁকে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী পদে বসান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

বন্ধ করুন