অবৈধভাবে ঘুরপথে চাকরি পেয়েছিলেন মন্ত্রীকন্য়া অঙ্কিতা অধিকারী। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। এবার এনিয়ে তাৎপর্যপূর্ণ রায় আদালতের। এতদিন ধরে তিনি যে চাকরি করেছেন তার বেতন ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। চাকরি থেকেও বরখাস্তের নির্দেশ। কিন্তু কোচবিহারের যে স্কুলে তিনি পড়াতেন সেখানকার ছাত্রীরা কী বলছেন এমন শিক্ষিকাকে নিয়ে?
প্রশ্ন উঠছে যে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন জালিয়াতির অভিযোগ তাকে কী আদৌ শিক্ষিকা হিসাবে কোনওদিন মেনে নেবেন মেখলিগঞ্জের বাসিন্দারা? এবার সেই শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের বিরুদ্ধে মুখ খুলছে সেই স্কুলেরই ছাত্রীরা। যে স্কুলে এতদিন ধরে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা ছিলেন তিনি।
কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জানিয়েছে,আমি চাইছি যে দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছিল তার যেন শাস্তি হয়। যিনি আমাদের স্কুলে পড়াতে পারবেন তাঁকেই এই স্কুলে রাখা দরকার। অপর এক ছাত্রী বলেন, ম্য়াডাম যেটা করেছেন সেটা একেবারেই ভুল করেছেন। এভাবে কারোর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা উচিত ছিল না। যেভাবে ম্যাম চাকরি নিয়েছিলেন তাতে আমাদেরও ক্ষতি হয়েছে। আদালত যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা একেবারেই ঠিক নিয়েছে।
ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা ইন্দিরা রায় বসুনিয়া বলেন, আমরাও শুনেছি।স্কুলে যে অর্ডার আসবে সেই অনুসারে পদক্ষেপ নেব।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, অঙ্কিতা অধিকারী ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে যেদিন চাকরি পেয়েছিলেন সেদিন থেকেই অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু ততদিনে ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়ে গিয়েছেন বাবা পরেশ অধিকারী। সেকারনে স্থানীয়রাও এনিয়ে মুখ খুলতে ভরসা পাচ্ছিলেন না। তবে এবার হাইকোর্টের নির্দেশের পরে নতুন করে প্রতিবাদের আওয়াজ উঠছে এলাকায়।