মঙ্গলবার রোড শো শেষে দলীয় সভায় পুলিশ আধিকারিকদের ফের হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মনে করালেন নিউটনের তৃতীয় সূত্র। এদিন স্থানীয় পুলিশ কমিশনার থেকে রাজীব কুমার, কাউকেই ছাড়েননি শুভেন্দু। পুলিশ আধিকারিকদের সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘পিসি-ভাইপোর সরকারটি আর ফিরছে না।’
এদিন বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে সতর্ক করে শুভেন্দু বলেন, ‘এখানকার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মাকে আমি অনেকদিন চিনি। ২০১১-এর আগে অবিভক্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার SP ছিলেন। যত মাহাতো সম্প্রদায়ের লোক, যত আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোক আছে... আমরা যারা জঙ্গলমহলে লড়াই করতাম... প্রত্যেককে তুলে নিয়ে গিয়ে কলাইকুণ্ডা বিমানঘাঁটির পাশে হিজলি থানায় ফ্যানে টাঙিয়ে পা ওপরে মাথা নীচে করে অত্যাচার করতো। লজ্জা লাগে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরে এই ধরনের লোকগুলোকে ভাল ভাল পোস্টিং দিয়েছে’।
এর পরই বারাকপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুরের দিকে নিশানা ঘোরান শুভেন্দু। বলেন, ‘অজয় ঠাকুর, আপনার স্ত্রীর কোম্পানি নিয়ে তো IT টানাটানি করছে। কে বাঁচাবে আপনাকে? তিনটে নোটিশ হয়ে গেছে, যায়নি। এগুলো বেশিদিন চলবে না। রাজীব কুমারের মতো অফিসারের জামিন বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে CBI’.
জেপি নড্ডার হামলার পর তিন আইপিএস আধিকারিককে দিল্লি তলবের কথা মনে করিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘নড্ডাজির কনভয়ে হামলার পর ৩ জন আইপিএসকে কেন্দ্রীয় আইনে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে। আমি জানি না তারা দোষী কি দোষী নয়। তবে আপনারা যে কাজগুলো করছেন তার পরিণতি খুব খারাপ। কারণ, পিসি ভাইপোর সরকারটি আর ফিরছে না’।
সঙ্গে যে ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বিজেপির কর্মসূচি, খড়দা থানার সামনে বিজেপির মহিলা কর্মীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জের ক্যাসেটও যত্ন করে রেখে দিতে বলেন শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, ‘মে মাসের পর ওই ক্যাসেট ব্যারাকপুর কমিশনারেটে চালানো হবে। তার পর নিউটনের তৃতীয় সূত্রের প্রয়োগ হবে।’
এদিন টিটাগড় থানার সামনে থেকে খড়দা থানার সামনে পর্যন্ত রোড শো করেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় সাংসদ অর্জুন সিং, মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ও BJYM-এর রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। এদিন বিজেপির কর্মসূচিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।