সোমবার রাতেও নিস্তার মিলছে না বৃষ্টি থেকে। আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টায় কলকাতা, দুই পরগনা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। তার জেরে জল দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন ঘণ্টায় কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। বিক্ষিপ্তভাবে মুষলধারে বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও আবার ঝিরঝিরে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
তারইমধ্যে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় বৃষ্টির মাত্রা কমে যাবে। তবে দুই মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া এবং পুরুলিয়ার ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। বুধবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা আছে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে। তবে সেই স্বস্তি সাময়িক হতে পারে। কারণ চলতি মাসের শেষের দিকে আরও দুটি ঘূর্ণাবর্তের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বর্ষণ হতে পারে। তার জেরে দুর্গাপুজোর সপ্তাহদুয়েক আগে আবারও ভাসতে পারে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) নাগাদ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। দিনতিনেক পরে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। যে ঘূর্ণাবর্ত দক্ষিণ চিন সাগরের টাইফুনের প্রভাবে তৈরি হবে। যা একেবারে অস্বাভাবিক কোনও ঘটনা নয়। বরং কখনও কখনও দক্ষিণ চিন সাগরের কোনও টাইফুন বা নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে পড়লেও বঙ্গোসাগরে এসে নতুন করে শক্তি সঞ্চয় করে। সেই ধাঁচেই চলতি মাসের শেষের দিকে বঙ্গোসাগরে দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে। যে ঘূর্ণাবর্তের সম্ভাব্য অভিমুখ থাকবে বাংলা-ওড়িশা উপকূলের দিকে। উপকূলে ঢোকার আগে অনেকটা পথ অতিক্রম করার ফলে সেই ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। তবে এখনও সেই ঘূর্ণাবর্তের বিষয়ে আলিপুর আবহওয়া দফতরের তরফে নির্দিষ্টভাবে কোনও পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, আপাতত পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। আদৌও নিম্নচাপ তৈরি হবে কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়।