মনের ইচ্ছে কার্যত ফোনে ভেস্তে গেল। মনে মনে ইচ্ছে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন। সেইমতো কাজও করেছিলেন কৃষ্ণেন্দু মিত্র! কিন্তু তাঁর কাছে ফোন গেল হুগলির চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকারের। ব্যস, আর বিধায়কের ফোন পেয়েই কেঁদে ভাসালেন ডানকুনি পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর। আর তারপরই নাটকীয় পট পরিবর্তন বিজেপি যোগদান মেলায়। বিজেপির মঞ্চে উঠেও গেরুয়া শিবিরে যোগ না দিয়ে ফিরে গেলেন কৃষ্ণেন্দু মিত্র। দলবদলের ট্রেন্ডে এটা নয়া সংযোজন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
দিলীপ ঘোষের যোগদান মেলায় বিজেপিতে যোগ দেবেন কৃষ্ণেন্দু মিত্র! এই খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। তখনই ছেলে অর্নিককে কৃষ্ণেন্দুর বাড়িতে পাঠান বিধায়ক স্বাতী খন্দকার। নিজেও ফোন করেন কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মিত্রকে। তাঁকে বিজেপিতে যোগ দিতে নিষেধ করেন তিনি। কৃষ্ণেন্দু যদি দল ছাড়েন, তাহলে তিনি কোনও চরম সিদ্ধান্ত নেবেন! বিধায়ককে ফোনে এই কথাটা জানাতেই কেঁদে ফেলেন কৃষ্ণেন্দু। এত ভালোবাসা যে তাঁর প্রতি ছিল, তা আগে বুঝতেও পারেননি তিনি। তখন বিধায়কের কাছে কৃষ্ণেন্দু অভিযোগ করেন, তৃণমূল তাঁকে ছাড়তেই হবে। কারণ দলে কোনও সম্মান পান না। অথচ ১৯৯৮ সালে ডানকুনিতে তৃণমূল প্রতিষ্ঠায় তাঁর হাত ছিল।
উল্লেখ্য, ডানকুনি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিষ মুখোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কৃষ্ণেন্দু মিত্রকেও নিয়েও জল্পনা ছিল। বৃহস্পতিবার ডানকুনিতে বিজেপি যোগদান মেলায় তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন, এই খবর পান বিধায়ক স্বাতী খন্দকার। তখনই বিজেপি যোগদান মেলায় নাটকীয় পট পরিবর্তন ঘটে। মঞ্চে উঠেও বিজেপিতে যোগ না দিয়ে ফিরে যান কৃষ্ণেন্দু মিত্র। অধরা থাকল মনের ইচ্ছে।
সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দিয়ে তাঁর বক্তব্য রাখতে চেয়েছিলেন কৃষ্ণেন্দু মিত্র। কিন্তু সেই সুযোগ না মেলায় অপমানিত হয়েছেন দাবি করে বিজেপির সভা থেকে বেরিয়ে যান তিনি। বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, ব্যক্তিগত কারণে যোগদান করতে এসেও ফিরে গিয়েছেন কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মিত্র। মনের ইচ্ছে কোণে রেখে ফোনে কেঁদে ভাসালেন তিনি। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এল।