Covid-19 লকডাউনে রাজ্য প্রশাসনের কাজে বাধা সৃষ্টি করার জন্য আরও এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ২০০৫ সালের দুর্যোগ মোকাবিলা আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার বিরুদ্ধে বীরপাড়া ফআইআর দায়ের করা হয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠিতে বার্লা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে গৃহবন্দি করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের (Disaster Management Act) ৫১ নম্বর ধারায় (বাধা দেওয়া) এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ নম্বর ধারায় (সরকারি কর্মীর জারি করা নির্দেশ অমান্য করা) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সাংসদদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়ার কারণ দর্শিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন বাংলার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। টুইটারে
এই অভিযোগ জানিয়ে তিনি লেখেন, ‘গুরুতর দুষ্কর্মের অভিযোগ খতিয়ে দেখার পরে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ টুইটে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাকে ট্যাগ করেন রাজ্যপাল।
গত ১৪ এপ্রিল বাঁকুড়া জেলায় বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের ৫৪ নম্বর ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ও ৫০১ (১)(বি) ধারা অনুযায়ী অভিযোগ দায়ের করে রাজ্য পুলিশ।
অন্য দিকে, উত্তরপাড়ার বিজেপি বিধায়ক অর্জুন সিং-ও অভিযোগ জানিয়েছেন, লকডাউনে দুর্গতদের জন্য ত্রাণমূলক কাজ করতে তাঁকে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বাধা দেওয়া হচ্ছে।
এই সমস্ত অভিযোগের জেরেই রাজ্যপাল ধনখড় টুইট করেন, ‘যাঁরা এই সব করছেন তাঁরা গুরুতর ফলের সম্মুখীন হবেন। এই ধরনের রাজনৈতিক বৈষম্য মেনে নেওয়া হবে না। রাজ্যের আধিকারিকদের রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হতে হবে।’
শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে অভিযোগ করেন যে, বিপর্যয়ের সময় কিছু কিছু মানুষ রাজনৈতিক খেলায় মেতেছেন।
গত ১৫ এপ্রিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা অন্য এক চিঠিতেএ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশে লেখা চিঠিতে রাজ্যে ত্রাণ সামগ্রী বণ্টনে অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে বলে অভিযোগ জানান সাংসদ জন বার্লা।