মৃত্যুর পর করোনা রোগীর লাশ গুম করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়িতে। মৃত বিমলকুমার পাল (৬৪)-র স্ত্রী ও ছেলের অভিযোগ, রোগীর মৃত্যু সংবাদ দেওয়া তো পরের কথা, সৎকারের খবরও দেয়নি প্রশাসন। দেহ সৎকারের পর মৃত্যুসংবাদ জানানো হয়েছে তাঁদের। পরিবারটি জানিয়েছে, সেজন্য বাড়ি এসে দুঃখ প্রকাশ করে গিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেব।
শিলিগুড়ি শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কলেজপাড়ার বাসিন্দা বিমলবাবুর সম্প্রতি করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে গেলে তাঁকে লালারস পরীক্ষার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। গত ২০ জুন মাটিগাড়ার করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। গত মঙ্গলবার বিকেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
বলে রাখি, এই এলাকাতেই বাড়ি রাজ্যের মন্ত্রী গৌতম দেবের। ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মন্ত্রীমশাইয়ের স্ত্রী। প্রয়াত বিমলবাবুর স্ত্রীর অভিযোগ, তাঁকে স্বামীর মৃত্যু সংবাদ না দিয়েই দেহ সৎকার করা হয়েছে। একই অভিযোগ করেছেন মৃতের ছেলেও।
পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন গৌতম দেব। না জানিয়ে দেহ সৎকার করায় পরিবারের কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছেন তিনি। ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত দাবি করছে নিহতের পরিবার।
তাঁদের প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়া কি কোনও অপরাধ? তাহলে মৃতের পরিবারের সঙ্গে এমন আচরণ কেন? হাসপাতালে কোনও ব্যক্তির মৃত্যু হলে পরিবারকে সেই খবর জানানো প্রশাসনের প্রথম কর্তব্য। তা না করে কী করে দেহ সৎকার করে ফেলল তারা? বিমলবাবুর নামে যে অন্য কারও দেহ সৎকার হয়নি তারই বা প্রমাণ কী?