মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজে্র অনুপ্রেরণার সূত্র হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি তাঁকে স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে একাসনে বসিয়ে বিতর্কের মুখে পড়লেন উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের অরিন্দম মুখোপাধ্যায়।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলে বিধ্বস্ত পরিবারগুলির পুনর্বাসনের জন্য শনিবার দুপুরে উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের ৬টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রাজ্য সরকার নির্ধারিত ‘ডিগনিটি কিট’ দেওয়ার ব্যবস্থা হয়। ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানের মঞ্চে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে আচমকা আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে তিনি বলেন, ‘সকালবেলা যদি মুখ্যমন্ত্রীর ছবির সামনে দু’মিনিট দাঁড়ান, এক অদ্ভুত শক্তি পাবেন। আমি নিজে সকালে দুটো ছবির সামনে দাঁড়াই। একটা স্বামী বিবেকানন্দের ছবি। অন্যটা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি। এক অদ্ভুত জীবনীশক্তি আমাকে পুনরুজ্জীবিত করে। উনি কর্মবীর। ওঁর ছবির সামনে দাঁড়ালে আপনিও কর্মের অনুপ্রেরণা পাবেন।’
বিডিও ভাষণ দেওয়ার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ফিরোজ কামাল গাজি এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। ত্রাণ বণ্টন অনুষ্ঠানে বিডিওর বক্তব্য শুনে সকলে পরস্পরের মুখ চাওয়াচাওয়ি করেন।
উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক কর্তার মুখে মুখ্যমন্ত্রীর প্রকাশ্য বন্দনায় একদিকে যেমন অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব, তেমনই ঘটনার থেকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে তত্পর হয়েছে রাজ্য বিজেপি। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা কটাক্ষ করেন, ‘আমরা বহু বার বলেছি যে পুলিশ, বিডিও ও আমলাদের সাহায্যেই সরকার চালাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের কথাবার্তাতেই তা ধরা পড়ছে।’
বুলবুল বিধ্বস্ত মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য রাজ্য সরকারের ‘ডিগনিটি কিট’-এ থাকছে ত্রিপল, শাড়ি, লুঙ্গি, ধুতি, চাদর, শিশুদের পোশাক, শুকনো খাবার, বাসনপত্র, স্টোভ ইত্যাদি সামগ্রী।