প্রত্যাশার বাইরে হাঁটল না মমতাদের বাজেট, সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় ৫৯%
Updated: 07 Jul 2021, 04:32 PM ISTসেই পরিস্থিতিতে প্রত্যাশার বাইরে গেল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় দফার সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট।
সেই পরিস্থিতিতে প্রত্যাশার বাইরে গেল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় দফার সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট।
ভারসাম্যের সরু সুতোর উপর হেঁটে বাজেট করতে হত। সেই পরিস্থিতিতে প্রত্যাশার বাইরে গেল না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় দফার সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট। যে সামাজিক প্রকল্পগুলি চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা, সেখানেই বাজেটের বেশিরভাগ অংশ বরাদ্দ করা হল। মোট বরাদ্দের ৫৮ শতাংশের বেশি জুটল সামাজিক প্রকল্পগুলির ভাগ্যে। তাছাড়া চাকরি ক্ষেত্রে তেমন দিশা মেলেনি। বরং কর্মসংস্থানের জন্য সেই দেউচা পাচামি, রঘুনাথপুরে শিল্প এবং ছোটো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উপর ভরসা রাখলেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : শীঘ্রই শুরু হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। সেই প্রকল্পের আওতায় জেনারেল ক্যাটেগরির পরিবারকে মাসিক ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তফসিলি জাতি ও জনজাতির পরিবারে মাসিক ১,০০০ টাকা দিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : গ্রাম এবং শহরে দু'শতাংশ স্ট্যাম্প ডিউটি কমেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : বাংলাদেশকেও টিকা দিতে পারছে না নরেন্দ্র মোদী সরকার। চিন দিয়ে দিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : লাগাতার পেট্রল এবং ডিজেলের দাম বাড়ছে। তার জেরে হেঁশেলে আগুন জ্বলছে। শুধু কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় রদবদল করলে হবে!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : একশো দিনের কাজে দেশে এক নম্বরে বাংলা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ২,০০০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্যসাথীতে ১,৯০০ কোটি টাকা। স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : দেউচা পাচামিতে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে এক লাখ কাজ হবে। রঘুনাথপুরে ২-২.৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে। ৭২,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ আসছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : বাজেটের বরাদ্দের সামাজিক প্রকল্পে ৫৮.২৬ শতাংশ খরচ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : যাবতীয় তুলনা করলেও বুঝতে পারবেন যে আমরা কতটা বঞ্চিত। তাও আমরা কত এগিয়ে। কেন্দ্র দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, ভারতে আর্থিক বৃদ্ধির হার ৭.৭ কমেছে। রাজ্যে ১.২ শতাংশ বেড়েছে। ভারতে রাজস্ব ঘাটতি ৯.৩ শতাংশ। বাংলায় ৩.৮৬ শতাংশ। আমফানে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ২,০০০ কোটি টাকা।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ২০২০-২১ সালে কেন্দ্রের বাজেটে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ ছিল ৫৮,৯৫২.৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু ৪৪,৭৩৭.১ কোটি টাকা পেয়েছি। ১৪,০০০ কোটি টাকা কম পেয়েছি। ২০১৯-২০ সালে তা ১১,০০০ কোটি টাকা। তাছাড়াও কেন্দ্রের থেকে ৩৩,০০০ কোটি টাকার বেশি পাব। সবমিলিয়ে আমরা ৬০,০০০ কোটি টাকা পাইনি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় : ২০২০-২১ সালের বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা। যা ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বেড়ে হয়েছে ৩ লাখ ৮ হাজার ৭২৭ কোটি হয়েছে। ২০.৭ শতাংশ বেড়েছে।
২,১০৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা খাতে।
৭৭৬ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন খাতে।
সুন্দরবন উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ ৫৭৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
আর্থিক ও কর নীতিতে সংস্কারের ঘোষণা পার্থের। পণ্য পরিষেবার করের ক্ষেত্রে ১৪ টি সংশোধনীর প্রস্তাব রাজ্যের পূর্ণাঙ্গ বাজেটে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধি, প্রতিবাদে ৪০ কিমি সাইকেলে চালিয়ে বিধানসভায় শ্রমমন্ত্রী – বিস্তারিত পড়ুন
পার্থ চট্টোপাধ্যায় : সংশোধিত কৃষকবন্ধু প্রকল্প ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: রাজ্য সরকার দারুণভাবে করোনা পরিস্থিতি সামলেছে রাজ্য সরকার। টিকাকরণে দেশে এক নম্বরে বাংলা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: ক্ষুদ্র, ছোটো এবং মাঝারি শিল্প এবং বস্ত্র খাতে বরাদ্দ ১,১৪৪ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: করোনা পরিস্থিতিতে চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রোড ট্যাক্স মকুব। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত ট্যাক্স মকুব করারও প্রস্তাব দিচ্ছি।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: পরিবেশ খাতে চলতি অর্থবর্ষে ৯৭.৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা। সেইসঙ্গে অপ্রচলিত এবং পুনর্নবীকরণ শক্তির খাতে ৭৪.৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। ৭০.১১ কোটি বরাদ্দ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং জৈব প্রযুক্তি খাতে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়: গত ১০ বছরে বাংলার অর্থনীতিতে সাফল্য এসেছে। করোনাকালে তেলের দাম বাড়িয়ে বিপল রাজস্ব আদায় কেন্দ্রের। করোনাভাইরাস মহামারী, আমফান, ইয়াসের পরও উন্নয়নের দিকে নজর রাজ্য সরকারের। সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করা হয়েছে।
স্ট্যাম্প ডিউটির হারে বিশেষ ছাড়ের প্রস্তাব। চলতি বছরের ৩০ অক্টোবরের মধ্যে দলিল রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে বিশেষ সুবিধা মিলবে। ১) স্ট্যাম্প ডিউটির হারে দু'শতাংশ ছাড়। ২) দলিল রেজিস্ট্রেশনের দর ১০ শতাংশ কমানোর প্রস্তাব।
অসুস্থ অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাই বাজেট পড়বেন শিল্প তথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
বিধানসভার লবিতে পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
করোনাভাইরাসের জেরে গত অথবর্ষে বেড়েছিল রাজস্ব ঘাটতি। অর্থনীতির চাকা কিছুটা ঘুরে দাঁড়ানোয় রাজস্ব ঘাটতি কমতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।
ভোট অন অ্যাকাউন্টে চলতি অর্থবর্ষে বরাদ্দের প্রস্তাব ছিল প্রায় তিন লাখ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, পূর্ণাঙ্গ বাজেটে সেই বরাদ্দ বাড়তে পারে।
পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ ও রাজকোষ ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখা - সেই সরু দড়ির উপর ভারসাম্য রক্ষা করেই তৃতীয় দফায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত ফেব্রুয়ারিতে যে ভোট অন অ্যাকাউন্ট পেশ করেছিল মমতা সরকার, তা কার্যত পূর্ণাঙ্গ বাজেটেরই সামিল ছিল। প্রায় ৪১ টি স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে এবার বিধানসভা ভোটে একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মমতা। ইতিমধ্যে কয়েকটি চালুও হয়ে গিয়েছে। সেগুলির জন্য রাজ্যের ভাঁড়ারে পর্যাপ্ত পরিমাণে অর্থ তুলে রাখতে হবে। পাশাপাশি করোনাভাইরাস-কালে রাজস্ব ঘাটতি যাতে লাগামছাড়া না হয়, তাও মমতার সরকারকে নজরে রাখতে হবে। যা পূর্ণাঙ্গ বাজেটের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের মত।