বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনে ধরা পড়েছিল শার্প শুটার মণীশ সিং। এবার তাকে সিআইডি নিয়ে এসেছে কলকাতায়। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিআইডি হেফাজতে থাকবে এই শার্প শুটার। সিআইডি জানতে চায় কী কারণে বিজেপি নেতাকে খুন করা হল? এবং কে সুপারি দিয়েছিল? মূল প্রশ্ন এই দুটিই। তাহলেই অঙ্ক পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।
গত ৪ অগস্ট গ্রেফতার করা হয় মণীশ সিংকে। হরিয়ানা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেফতার হন মণীশ সিং। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে এই শার্প শুটার বলে খবর। গত ৩০ জুলাই হরিয়ানায় একটি দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে গ্রেফতার হন মণীশ। তদন্তে উঠে এসেছে এসেছে, মণীশ শার্প শুটার হিসাবে কাজ করত। আর বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা খুনেও সেই জড়িত। এই নিয়ে মণীশ শুক্লা খুনে চারজন শার্প শুটারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে শার্প শুটার অনীশকে তামিলনাড়ু থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর উত্তর ২৪ পরগনার টিটাগড় থানা থেকে সামান্য দূরে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লাকে। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলেন তিনি। তখনই মোটরবাইকে এসে কেউ খুব কাছ থেকে গুলি চালায় মণীশের উপর।
ইতিমধ্যেই মণীশ খুনের ঘটনায় ব্যারাকপুর আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে সিআইডি। ঘটনার ৮৭ দিনের মাথায় চার্জশিট পেশ করা হয়। ১০ জনের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন, ১২০বি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, ৩৪ একই উদ্দেশ্যে অপরাধ করা, ২১২ অপরাধীকে আড়াল করা, ২০১ তথ্যপ্রমাণ লোপাট, ২৫ ও ২৭ অস্ত্র আইনের ধারায় চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে।