ফের সামনাসামনি আসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একগুচ্ছ নতুন প্রকল্পের উদ্বোধনে ৭ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই আমন্ত্রিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও। ২৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের অনুষ্ঠানের পর এবার হলদিয়ায় ফের এক ফ্রেমে দেখা যেতে পারে মোদী–মমতা–ধনখড়কে। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কিনা জানা যায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর সফরের ব্যাপারে রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, উজ্জ্বলা যোজনার আওতায় যাতে নিরবিচ্ছিন্ন পরিষেবা প্রদান করা সম্ভব হয় তার জন্য ১১০০ কোটি টাকা খরচ করে এলপিজি টার্মিনাল বানানো হয়েছে হলদিয়ায়। সেটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও আত্মনির্ভর ভারতের লক্ষ্যে লুব্রিকেন্ট বেস অয়েল বানানোর জন্য হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালে ১০০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে গড়ে উঠেছে কারখানা। তার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে। শুধু তাই নয়, মিনিস্ট্রি অফ রোড ট্রান্সপোর্টের আওতায় একটি রাস্তার প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। প্রধানমন্ত্রী উর্যা গঙ্গা যোজনার আওতায় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাসের সরবরাহ করা হবে। ২৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে সেই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে হলদিয়ায় গিয়েছিলেন বিজেপি–র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সেখানে তিনি জানান, ৭ ফেব্রুয়ারির এই সরকার অনুষ্ঠান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানানো হয়। একইসঙ্গে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়েছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু বিজেপি–তে যোগ দেওয়ার পরপরই শাসকদলের থেকে দূরত্ব বেড়েছে দিব্যেন্দুর। তাই এই অনুষ্ঠানে তাঁকে আমন্ত্রণ করার ব্যাপারটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
যদিও ৭ ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান, যেখানে ২টি সরকারি প্রকল্পের সূচনা এবং ১টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন মোদী, সেখানে মমতা যাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। এর আগে নেতাজি জন্মজয়ন্তীর দিন কলকাতার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের সরকরি অনুষ্ঠানে মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী ও মমতা। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে দর্শকদের মধ্য থেকে দেওয়া হয় ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান। প্রতিবাদে ভাষণ রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী। যদিও তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি ৩ ঘণ্টার ওই অনুষ্ঠানে একসঙ্গে প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখলেও, সামান্য সৌজন্য বিনিময় ছাড়া তেমন একটা কথা বলতে দেখা যায়নি মোদী–মমতাকে।