উত্তরকন্যা অভিযানে মৃত বিজেপি কর্মী উলেন রায়রে মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত রাজনীতি। সিআইডি–র ওপর ভরসা নেই, তাই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তা নিয়ে মঙ্গলবার রানিগঞ্জের সভা থেকে বিজেপি–কে আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘বিজেপি কুৎসা করে ঝড়ের বেগে। মিথ্যা কথা বলে। লোক মারে। নিজে মিছিল করে, নিজে লোক মারে।’
এদিনই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ ও পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন যে পুলিশ শটগান ব্যবহার করে না। সেই একই দাবি জানিয়ে বিজেপি–র উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘পুলিশ ওই বন্দুক ব্যবহারই করে না। ছররা দিয়ে তুমি একটা লোককে মেরে ফেলছো ভাই? পাবলিসিটি করার জন্য? প্রপাগান্ডা করার জন্য?’ তাঁর কথায়, ‘বাংলায় গুন্ডামি চালাতে চায় বিজেপি। বাংলাকে গুজরাত বানাতে দেব না। বাংলায় আমরা সবাই একসঙ্গে থাকি। আর যদি কেউ মনে করে টাকার প্যাকেট দিয়ে সবাইকে কিনবে, তাদের জানাব বাংলাকে কেনা যায় না।’
এদিন বিজেপি আর তৃণমূলের তুলনা টেনে মমতা বলেন, ‘ওরা কুৎসা করে ঝড়ের বেগে আর আমরা ঝড়ের বেগে উন্নয়ন চাই। ঝড়ের বেগে কুৎসা নয়, ঝড়ের বেগে অপপ্রচার নয়। আমরা ঝড়ের মতো দাঙ্গা করব না, ঘড় জ্বালাব না। কিন্তু আমরা ঝড়ের মতো কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাব।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে বিজেপি–র সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা বাংলা সফরে এসে দ্রুত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বা সিএএ চালু করার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। এদিন পশ্চিম বর্ধমানের সভামঞ্চ থেকে বিজেপি–কে কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘বিজেপি সবাইকে বাংলা থেকে তাড়াতে চায়। সিএএ চালু করে সবাইকে তাড়াতে চায় বিজেপি। দাদু–ঠাকুমাদের জন্মদিন কবে জানতে চাইছে ওরা। আমি নিজেই আমার মায়ের জন্মদিন কবে জানি না। কিন্তু মৃত্যুদিনটা জানি। আগেকার দিনে অনেকের জন্মই বাড়িতে হত। তাই সে সংক্রান্ত নথিও থাকত না। কিন্তু এখন বিজেপি–র কেন্দ্র সরকার বলছে ঠাকুরদার জন্মদিন কবে বলুন তবেই নাগরিকত্ব দেব।’