আজ, সোমবারই ভার্চুয়াল প্রশাসনিক বৈঠকে উত্তর ২৪ পরগনায় বেড়ে চলা করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের প্রশ্ন করেন, ‘উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি সামলানো যাচ্ছে না কেন?’ সেই পরিস্থিতির যে এতটুকু বদল হয়নি তা জানা গেল সোমবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে। এদিন শুধু উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন করে করোনা আক্রান্ত ধরা পড়েছেন ৭০০ জন। মৃত্যু হয়েছে ১২ জন রোগীর। তবে এটাও উল্লেখ্য যে এদিন সু্স্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন এই জেলার ৬০৫ জন।
সোমবার পশ্চিমবঙ্গে নতুন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৬৭ জন। যা রবিবার থেকে অনেকটাই কম। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ১,৪১,৮৩৭। এদিন রাজ্যে করোনা আক্রান্ত ৫৭ জনের মৃত্যু হওয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২,৮৫১ জন। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে করোনা অ্যাকটিভ ২৭,৬৯৪ জন। এদিন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মোট ৩২৮৫ জন। তাতে সুস্থতার হার কিছুটা বেড়ে হয়েছে ৭৮.৪৬%।
এদিনের স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানা গিয়েছে, এদিন রাজ্যে ৩৫,২৬৭টি করোনার নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনার নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা দিয়ে দাঁড়াল ১৫,৯৬,৫৭৮। পরীক্ষা হওয়া নমুনার মধ্যে ৮.৮৮ শতাংশ পজিটিভ। দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে করোনা সংক্রমণ অব্যাহত। সোমবার আলিপুরদুয়ারে ১১৫, দার্জিলিংয়ে ১০৯, দক্ষিণ দিনাজপুরে ১০৮ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে, এদিন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৫৮, পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৫৪, পূর্ব মেদিনীপুরে ১৩৪, পুরুলিয়ায় ১১৫, হুগলিতে ১০৮, হাওড়ায় ১০৪ ও বাঁকুড়ায় ১০২ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর এদিন কলকাতায় নতুন ৪৬৫ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। উল্লেখযোগ্য ভাবে, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন কলকাতার ৬৫১ জন। আর মৃত্যু হয়েছে কলকাতার ১৩ জন রোগীর।