গত ২০ দিন ধরে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়িতে বেড়ে চলেছে মাওবাদী কার্যকলাপ। জঙ্গলমহলে একের পর এক ঘটনায় দুশ্চিন্তায় প্রশাসন। বেলপাহাড়িতে ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর ঘটনা থেকে শুরু করে হালে পর্যটকদের ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই বেড়েছে উদ্বেগ।
তাই আজ, শনিবার ঝাড়গ্রামে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসল পুলিশ–প্রশাসন। ঝাড়গ্রাম পুলিস লাইনে এদিনের বৈঠকটি ডেকেছেন ডিজিপি বীরেন্দ্র। সকাল ১১টা থেকে টানা ৩ ঘণ্টা চলা ওই বৈঠকে ছিলেন এডিজি পশ্চিমাঞ্চল, আইজি বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামের পুলিশ সুপার, ঝাড়গ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস), বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ও বেলপাহাড়ির ডিএসপি।
জঙ্গলমহলে সাম্প্রতিক মাওবাদী কার্যকলাপ কিছুটা এরকম— ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের দিন ভুলাভেদা এলাকায় পোস্টার পড়ে মাওবাদীদের। ২৭ অগস্ট শিমূলপাল পঞ্চায়েতের পচাপানি এলাকার ব্যবসায়ী বিদ্যুৎ দাসকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে।
এর পরে শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর একইদিনে বেলপাহাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে মাওবাদী পোস্টার। তাতে লেখা— ‘ঠিকাদার সৌরভ রায় রোডের কাজ বন্ধ করুন।’ সেদিনই বেলপাহাড়ির ঢাঙ্গিকুসুম এলাকায় ঘুরতে আসা একদল পর্যটক কাছ থেকে ৭ জন স্বশস্ত্র মাওবাদী মোবাইল ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। এর পরই তৎপর হয় পুলিশ–প্রশাসন।