গিনেস রেকর্ডে নাম লেখানোর পরিকল্পনায় ৩ লাখের বেশি দেশলাই কাঠি দিয়ে তাজমহল তৈরি করেছেন তিনি। সবাইকে চমকে দিয়েছেন বাংলার এক তরুণী। ২২ বছরের তরুণী সহেলি পাল নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি এলাকার বাসিন্দা। এই তরুণী আস্ত একটি তাজমহল তৈরি করে ফেলেছেন! সেই সৃষ্টির সৌজন্যেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নিতে পারেন তিনি। আসলে ভাবনার মধ্যেও একটু অন্যভাবে ভাবা।
পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণি এলাকার সহেলি পালের তৈরি করা তাজমহলের উচ্চতা ৬ ফুট। চওড়া ৪ ফুট। ভালবাসার সৌধ যেন ভালবেসেই তৈরি করলেন তিনি। মুঘল সম্রাট শাহজাহান নিজের স্ত্রী মমতাজকে ভালবেসে তাঁর স্মৃতিতে তাজমহল বানিয়েছিলেন। সহেলিও তাজমহল গড়লেন। নতুন সৃষ্টির আনন্দে। ভালবেসে। এক–দুই নয়, তিন লক্ষেরও বেশি দেশলাই কাঠি ব্যবহার করে তাজমহল বানিয়েছেন সহেলি।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সহেলির প্রতিক্রিয়া, ‘রাতের তাজমহলকে দেশলাই কাঠির মধ্যে দিয়ে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি দুটি রং ব্যবহার করেছেন।’ গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে কাজ শুরু করেন সহেলি। গিনেস বিশ্ব রেকর্ড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগেভাগেই যোগাযোগ করে তাদের গাইডলাইন জেনে নেন। ২০১৩ সালে ইরানের মেয়স্যাম রহমানি ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯৫১টি দেশলাই কাঠি দিয়ে ইউনেস্কোর লোগো তৈরি করে গিনেস বুকে নাম তুলেছিলেন। সহেলির আশা, এবার সেই নামকে ছাপিয়ে নয়া বিশ্বরেকর্ডের মালকিন হবেন তিনি।
জানা গিয়েছে, ৩০ সেপ্টেম্বর সম্পূর্ণ তাজমহল গড়ে তার একটি ভিডিও কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। এবার সুখবরের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন সহেলি ও তাঁর পরিবার।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৮ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট মাটির দুর্গা প্রতিমা গড়ে বিশ্বরেকর্ড করেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী। ২.৫৪ বাই ১.৯৩ বাই ০.৭৬ সেন্টিমিটার আয়তন ও ২.৩ গ্রাম ওজনের মূর্তি বানান তিনি। এবার তাঁর হাতে তৈরি তাজমহল নয়া নজির গড়ার অপেক্ষায়।
সহেলির বাবা ও ঠাকুরদা, দু’জনই মূর্তি গড়ার জন্য রাষ্ট্রপতি পুরস্কার পেয়েছেন। সহেলি বলেন, ‘বাবা–ঠাকুরদার এই ঐতিহ্যই বয়ে নিয়ে যেতে চাই।’