অমিত শাহের পশ্চিমবঙ্গ সফরের দিনই গীতা মাহালির হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিন রাজ্য সরকার। ২০১৭ সালে উত্তরবঙ্গ সফরে এই গীতা মাহালির বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ। বৃহস্পতিবার তাঁকে সরকারি চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এর পর গীতা মাহালি জানান, ওই দিনের পর থেকে তৃণমূল ছাড়া আর কেউ খোঁজ নেয়নি তাঁদের।
২০১৭ সালের এপ্রিলে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি অমিত শাহ। গীতা মাহালির দাওয়ায় বসে আহার করেছিলেন শাহ-সহ বিজেপি নেতৃত্ব। তার পর কেটে গিয়েছে ৩টে বছর। বৃহস্পতিবার গীতা মাহালির হাতে হোমগার্ডের চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়।
এর পর গীতা মাহালি জানিয়েছেন, গত ৩ বছরে বিজেপি তাঁদের কোনও খোঁজ নেয়নি। বরং সব সময় পাশে থেকেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, অমিত শাহ মাহালি পরিবারের মধ্যাহ্নভোজ সেরে আদিবাসীদের উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু ৩ বছরেও তার কিছুই হয়নি। অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় পরিবারটির পাশে থেকেছেন।
পালটা বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, মাহালি পরিবারই অমিত শাহ-সহ বিজেপি নেতৃত্বকে মধ্যাহ্নভোজনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অমিত শাহ বিদায় নিতেই পরিবারটিকে তুলে নিয়ে আসেন তৃণমূল নেতা গৌতম দেব। এর পর তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়। বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে তৃণমূলই।
বিজেপির দাবি, ভবিষ্যতেও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে অন্নগ্রহণ করে জনসংযোগ বাড়ানোর কাজে উদ্যোগী থাকবে তারা। তার পর সরকার যদি তাদের চাকরি দেয় তো ভাল কথা।
এই নিয়ে সিপিএম নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য শংকর ঘোষ বলেন, ‘বিজেপির সঙ্গে চটকের রাজনীতিতে পাল্লা দিতে গীতা মাহালিকে চাকরি নিয়োগপত্র দিল সরকার। গীতা মাহালির মতো হাজারো আদিবাসী যুবক-যুবতী বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাঁদের জন্য সরকারের কোনও ভাবনা নেই। এমনকী চা বাগানের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরিও এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি সরকার’।