তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হবে। সেটা সম্পন্ন হলেই পূর্বভারতের অন্যতম বড় প্রবেশপথ হয়ে দাঁড়াবে এটি। ফলে সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে নারাজ পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর সেই কারণেই নতুন পরিকল্পনা নবান্নের। নিউজ এইট্টিন সূত্রে খবর, তাজপুর থেকে রঘুনাথপুর পর্যন্ত এলাকা জুড়ে অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলার পরিকল্পনা করতে রাজ্য সরকার। তাজপুর বন্দরকে হাতিয়ার করে এই এলাকায় শিল্পের খাস তালুক গড়ে তোলার কথা ভাবা হচ্ছে। শিল্প টানতে মরিয়া রাজ্য সরকারের জন্য এটিই তুরুপের তাস হতে পারে।
এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, তাজপুরের এই সমুদ্র বন্দর তৈরি করার বরাত গিয়েছে আদানি গোষ্ঠীর হাতে। গত বছর ডিসেম্বরে এসে 'সাইট ভিজিট' করে গিয়েছেন আদানি গোষ্ঠীর কর্তারা। শীঘ্রই সেই কাজ শুরু হতে পারে। চলমান আদানি শেয়ার সঙ্কটে সেই কাজ আদৌ শুরু হবে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তবে আদানি গোষ্ঠী সাফ জানিয়ে দিয়েছে, শেয়ারের সমস্যার কোনও প্রভাব তাদের ব্যবসায় পড়তে দেওয়া হবে না। মূলধন বিনিয়োগ জারি রাখবে তারা। তাছাড়া রাজ্য সরকার আদানি গোষ্ঠী না করলে তখন ফের অন্য কোনও দরদাতাকে এই দায়িত্ব দিতেই পারে। আরও পড়ুন: ‘আদানির জন্য রাজ্যের প্রকল্প আটকাবে না,' শুভেন্দুর খোঁচায় জবাব কুণালের
ফলে তাজপুরকে মোটেও হালকাভাবে নিচ্ছেন না নবান্নের শীর্ষ মহল। সূত্রের খবর, সোমবারই এই অর্থনৈতিক করিডর গড়ে তোলার বিষয়ে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব। সেখানে হাজির ছিলেন শিল্প দফতরের দুঁদে আধিকারিক এবং জেলাশাসকরাও। হেভিওয়েট আমলারা এই পরিকল্পনার বিষয়ে আলোচনা করেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে না, শিল্পের জন্য কোনও কৃষিজমিতে কোপ পড়বে না। মূলত অকৃষি জমিই ব্যবহার করা হবে। ফলে জমি জটে যাতে পরিকল্পনা ভেস্তে না যায়, সেই বিষয়ে শুরু থেকেই নজর রাখা হচ্ছে।
কী জাতীয় শিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে?
এই অঞ্চলে সিমেন্ট, ভোজ্য তেল, লৌহ আকরিক ইত্যাদি শিল্পকে স্থান দেওয়া যেতে পারে। এই এলাকা থেকে সড়কপথের যোগাযোগও উন্নত করা যাবে। আর বন্দরের মাধ্যমে সমুদ্রপথের সুবিধা তো থাকছেই। ফলে এখানে শিল্পের ব্যবস্থা করলে আগ্রহী হবে বড় সংস্থাগুলি। এই বিষয়ে সরকারি তরফে সংস্থাগুলিকে সুযোগ-সুবিধাও প্রদান করা হবে।
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু শিল্প সংস্থাকে জমি দিয়েছে রাজ্য। কিন্তু তারা সেই জমি নিয়ে ফেলে রেখে দিয়েছে। তাদের আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই নোটিশ প্রদান করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিল্পের জন্য জমি নিয়ে কেন তাঁরা ফেলে রেখেছেন, তার কারণ দেখাতে হবে। জেলাশাসকদের এই বিষয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব। আরও পড়ুন: দেশের গড়ের থেকেও দ্রুত হারে রফতানি বেড়েছে বাংলায়, দাবি মমতার সরকারের
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup