উপকূলবর্তী এলাকা সুন্দরবন। তাই ঘূর্ণিঝড় থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বারবার এখানে আছড়ে পড়েছে। তাতে বিপদ বেড়েছে মানুষের জীবন–জীবিকার। আর প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষের সাহায্যে পৌঁছনো যাচ্ছে না সরকারি ত্রান থেকে নানা সাহায্য। এই অবস্থার কথা চিন্তা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার পরিকল্পনা করছে চারটি স্থায়ী হেলিপ্যাডের। এখানে আইলা থেকে আমফান–ইয়াস সবই আছড়ে পড়েছিল। সেখানে মানুষকে সাহায্য পৌঁছে দিতে বিস্তর ঝক্কি সামলাতে হয়েছিল।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সুন্দরবনের দ্বীপ এবং দুর্গম এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করতে নাজেহাল অবস্থা হয় প্রশাসনের। এই অবস্থার কথা মাথায় রেখে সুন্দরবনের ৩টি ব্লকে এবং ডায়মন্ড হারবারে একটি স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন সূত্রে খবর, গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ ও ডায়মন্ড হারবারে স্থায়ী হেলিপ্যাড হবে।
এই হেলিপ্যাড হলে দুটি কাজ একসঙ্গে হবে। এক, প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষকে দ্রুত সাহায্য করা যাবে। দুই, পর্যটনের ক্ষেত্রেও আসবে সাফল্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যে ৩০টি হেলিপ্যাড রয়েছে। আরও দু’জায়গায় হেলিপ্যাড করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে পরিবহন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তাব পেয়েছি। পূর্ত দফতর সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে। এটা অবশ্য পরিকল্পনার স্তরে রয়েছে।’
সূত্রের খবর, স্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরির জন্য গোসাবা ব্লকের কৃষক বাজার সংলগ্ন মাঠে ১.৭৮ একর, পাথরপ্রতিমার গোপালনগর গ্রামপঞ্চায়েতে ১.০১ একর, কাকদ্বীপের শ্রীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে ১ একর এবং ডায়মন্ড হারবার ২ ব্লকের মাথুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ২.০৭ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। নবান্নের সবুজ সংকেত পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।