হুগলির তেলেনিপাড়ায় লাগাতার হিংসার জেরে সরানো হল ভদ্রেশ্বর থানার আইসি-কে। আদতে চন্দননগরের সিআই হলেও অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে তাঁকে ভদ্রেশ্বর থানার আইসি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। বুধবার তাঁকে সেই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শনিবার থেকে হুগলির তেলেনিপাড়ায় অশান্তি শুরু হয়। তার রেশ ঘটনার পাঁচ দিন পরেও চলেছে। দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির দায় পরোক্ষে বিজেপির ঘাড়ে চাপিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হুগলির জেলাশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ফের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হুগলির তেলিনিপাড়া, রাজ্যপালের দ্বারস্থ বিজেপি
অন্য দিকে, তেলেনিপাড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করলে মানকুণ্ডুতে পুলিশ আটকে দিলে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, তেলেনিপাড়ার ঘটনা রাজ্যের সামগ্রিক আইন-শৃঙ্খলায় বিচ্যূতিরই বহিঃপ্রকাশ। একই ভাবে রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার অভিযোগ এনেছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। এর পর চুঁচুড়ায় জেলাশাসকের দফতরের বাইরে ধরনায় বসেন বিজেপি সাংসদরা।
বিজেপির বিরুদ্ধে পালটা অভিযোগ জানিয়ে শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, তেলেনিপাড়ায় অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। গত দুই মাস তাঁকে হুগলির মানুষের পাশে দেখা যায়নি, এখন হঠাৎ করে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: হুগলির তেলিনিপাড়ায় হিন্দুদের বাড়ি-ঘর, দোকান, মন্দির ভাঙা হয়েছে: দিলীপ ঘোষ
তাঁর অভিযোগ, করোনার বিরুদ্ধে একদিনও লোকসভায় দেখা যায়নি লকেটকে। তাঁর দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ এবং আইনভঙ্গের জন্য প্রশাসনকে বাধ্য হয়ে চন্দননগর ও শ্রীরামপুর মহকুমায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিতে হয়েছে।
মঙ্গলবারের পরে বুধবারও এলাকার বেশ কিছু দোকানে ভাঙচুর চালানো ও আগুন লাগানো হয়েছে বলে অভিযোগ। গত কয়েক দিন ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বহাল থাকায় আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন তেলেনিপাড়া ও সংলগ্ন এলাকার একাধিক বাসিন্দা।