প্রস্তাবিত দেউচা পাচমি কয়লাখনি প্রকল্প এলাকায় এবার সরকারি চাকরির ফর্ম বিতরণ শুরু করল জেলা প্রশাসন। শুক্রবার প্রথম দিনেই ফর্ম সংগ্রহ করেন বহু মানুষ। খনির জন্য জমি অধিগ্রহণ ঘিরে আদিবাসী বিদ্রোহের আঁচ পেয়েই সরকারের এই পদক্ষেপ বলে দাবি বিরোধীদের।
বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় জানিয়েছেন, যে সমস্ত পরিবার স্বেচ্ছায় জমি দেবেন তাদের পরিবারের ১ জনকে চাকরি দেবে সরকার। সেজন্য ফর্ম বিতরণ শুরু হয়েছে। এলাকার ৫০ শতাংশ মানুষ ফর্ম সংগ্রহ করেছেন বলে দাবি প্রশাসনের।
চাকরির ফর্ম বিতরণের জন্য আবদারপুর গেস্ট হাউজে একটি অস্থায়ী দফতর খুলেছে জেলা প্রশাসন। সেখানে শুক্রবার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
দেউচা পাচমি প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণ শুরু হতেই সেখানকার মূলবাসী মানুষের মধ্যে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে। সরকারি পুনর্বাসন প্যাকেজ পছন্দ নয় অনেকের। অনেকে কোনও মূল্যেই পিতৃপুরুষের মাটি ছাড়তে নারাজ। সরকারের তরফে প্রথমে জমির বদলে বিকল্প বাসস্থানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও রাজি হননি স্থানীয়রা। তাদের দাবি, আদিবাসী রীতি মেনে আবাসনে থাকা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। বর্তমানে তাঁরা যে ভাবে রয়েছেন সেভাবেই তাঁদের পৃথক পৃথক বাড়ি ও জমির ব্যবস্থা করতে হবে। সেই প্রস্তাবেও রাজি হয়েছে প্রশাসন।
বলে রাখি, গত ২৩ ডিসেম্বর হরিণশিঙা এলাকায় ‘শান্তি মিছিল’-এর আয়োজন করে তৃণমূল। কিন্তু জমি দিতে নারাজ স্থানীয় মহিলারা পালটা বিক্ষোভ শুরু করেন। মিছিলের পথ রুখে দাঁড়ান তাঁরা। পালটা পুলিশ লাঠি চালালে ৮ জন মহিলা রক্তাক্ত হন বলে অভিযোগ।