একমাস ব্যাপী উত্তরবঙ্গ সফরে বেরিয়ে পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। শনিবার সকাল ৬টা নাগাদ শিয়ালদহ থেকে কাঞ্চনকন্যা এক্সপ্রেসে ওঠেন তিনি। দুপুর দেড়টা নাগাদ নামেন মালদহ স্টেশনে। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানান মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। এদিন রাজ্যপাল টুইট করে জানিয়েছেন, ট্রেন থেকে নেমে সাধারণ মানুষের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন তিনি।
এদিন সকালে ট্রেনে ওঠার আগে রাজ্যপাল জানান, তাঁর জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সফরের আগে তিনি উত্তরবঙ্গ নিয়ে অনেক পড়াশোনা করেছেন। সেখানকার সমস্যা নিয়ে যথেষ্ট ওয়াকিবহাল তিনি। উত্তরবঙ্গে গিয়ে সেখানকার রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলবেন রাজ্যপাল। একইসঙ্গে কথা বলবেন বিভিন্ন আধ্যাত্মিক গুরু, বিদ্বজন ও সাংস্কৃতিক মহলের লোকজনের সঙ্গেও।
নিজের সাংবিধানিক পদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকে সেখানকার সমস্যার স্থায়ী সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে এদিন আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। একমাসের এই উত্তরবঙ্গ সফর তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘এটি আমার কাছে অনেক বড় হোমওয়ার্ক।’ এদিন টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘উত্তরবঙ্গের ভ্রমণ, পর্যটন, অর্থনৈতিক, শিক্ষাগত সম্ভাবনা অর্জনের জেরে মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতির সাক্ষী হতে চেয়েই এই সফর।’
আনুষ্ঠানিকভাবে ১ নভেম্বর থেকে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের সান্নিধ্যে যাবেন রাজ্যপাল। কাল, রবিবার শিলিগুড়িতে একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বসবেন তিনি।
এটা উল্লেখযোগ্য যে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সুপ্রিমো বিমল গুরুং এনডিএ–র হাত ছেড়ে আসন্ন নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করার ঘোষণার পরপরই পাহাড়–সফরে গেলেন রাজ্যপাল। তার আগে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রাজ্যের আইন–শৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ–র সঙ্গে বৈঠকে করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তার পরেই রাজ্যপালের একমাস ব্যাপী এই উত্তরবঙ্গ সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যপালের উত্তরবঙ্গ সফর নিয়ে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্যপাল পাহাড়ে একমাস কেন, তিনমাস থাকতে পারেন। তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যাথা নেই। কিন্তু আমরা চাই না কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে তিনি জড়িয়ে পড়ুক।’ উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘রাজ্যপাল তাঁর যখন ইচ্ছে রাজ্যের যে কোনও জায়গায় যেতে পারেন। তবে আমাদের মনে হয় না এটা কোনও রুটিন ভিজিট। এর পিছনে বড়সড় কোনও উদ্দেশ্য নিশ্চয়ই রয়েছে।’