অন্ডাল এয়ারপোর্টের শেয়ারের ৪৭.৪৩ শতাংশ মালিকানা গেল রাজ্য সরকারের হাতে। মঙ্গলবার রানিগঞ্জে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় এ কথাই জানালেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। কবি নজরুল ইসলামের নামে নামাঙ্কিত এই বিমানবন্দর তৈরির জন্য যে সব কৃষক ও অন্য বাসিন্দারা জমি দিয়েছিলেন তাঁদের অধিকাংশের হাতে মঙ্গলবার ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
রানিগঞ্জে এদিনের সভামঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘৫৮২৪টি পরিবার এয়ারপোর্ট তৈরির জন্য জমি দিয়েছিল। তাঁদের মধ্যে যাঁরা ৩৩ ডেসিমেলের বেশি জমি দিয়েছেন তাঁদের সরকারের তরফ থেকে অন্য জমি দেওয়া হবে। ল্যান্ড ফর ল্যান্ড। যাঁরা ৩৩ ডেসিমেলের কম জমি দিয়েছেন তাঁদের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আমরা যা বলি সেটা করি। ১৫২৯টি পরিবারকে জমির পরিবর্তে অন্য জমি তুলে দেওয়া হল আজ। এবং ২১৪৩টি পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল। এভাবে খুবই তাড়াতাড়ি প্রায় ৩৭০০ পরিবারের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারলাম। আরও ২১৫২টি পরিবারের হাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ তুলে দেওয়া হবে। গত ৯ বছরে এভাবেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সভা শুরুর আগেই ঘোষণা করেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে দক্ষিণবঙ্গের দ্বিতীয় এয়ারপোর্ট এই অন্ডালের কাজী নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে তৈরি করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী চেয়েছিলেন, সরকারি–বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে এই বিমানবন্দর তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ হলেও সরকারের যাতে প্রাধান্য সেখানে থাকে।’
মুখ্যসচিব জানান, ‘রাজ্য সরকার ইতিমধ্যে যে টাকা এই প্রকল্পে ঢেলেছে তা ইকুইটি বা শেয়ারে পরিণত করা হয়েছে। এই বিমানবন্দরে আগে ২৬ শতাংশ শেয়ার ছিল রাজ্য সরকারের। তা থেকে বেড়ে এখন ৪৭.৪৩ শতাংশ মালিকানা হয়েছে রাজ্যের। আমরাই হলাম সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। এর জেরে এই বিমানবন্দরের পরিচালনায় রাজ্য সরকার আরও বেশি কর্মকাণ্ড শুরু করতে পারবে।’ তিনি উল্লেখ করেন, এখন এখান থেকে দেশের নানা শহরে ১৮টি বিমান যায়। আগামীদিনে সেই সংখ্যা আরও বাড়বে।