এবছর মাধমিক পরীক্ষায় প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছে ১৬ জেলার ১১৮ জন। মালদা থেকে সর্বোচ্চ ২১ জন প্রথম দশে স্থান করে নিয়েছেন। এর মধ্যে মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের ফল বেশ ভালো হয়েছে। এবারের মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছেন কাটোয়া দুর্গাদাসী চৌধুরানী হাই স্কুলের পড়ুয়া দেবদত্তা মাঝি। তিনি পেয়েছেন ৬৯৭ নম্বর। ৯৯.৫৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন তিনি। এদিকে এবারের মাধ্যমিকে যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান মিউনিসিপাল স্কুলের পড়ুয়া শুভম পাল এবং মালদা রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দির রিফত হাসান সরকার। তাঁদের প্রাপ্ত নম্বর ৬৯১। এদিকে মালদার পর প্রথম দশে সবথেকে বেশি সংখ্যক পড়ুয়া রয়েছে পূর্ব বর্ধমানের। সেই জেলার ১৭ জন স্থান করেছে নিয়েছেন মেধাতালিকায়। (মাধ্যমিকের রেজাল্ট দেখতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন)
অপরদিকে তৃতীয় স্থানে ৬ জন আছেন। ৬৯০ নম্বর পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন টাকি রামকৃষ্ণ মিশন হাইস্কুলের অর্ক মণ্ডল, বেড়াচাপা দেউলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের সৌম্যদীপ মল্লিক, মালদার রামকৃষ্ণ মিশন বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরের মহম্মদ সরবর ইমতিয়াজ, মাহির হোসেন, স্বরাজ পাল, অর্ঘদীপ সাহা। ৬৮৯ পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন বনগাঁ কুমুদিনী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সমাদৃতা সেন, নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের অনীশ বাড়ুই। ৬৮৮ পেয়ে পঞ্চম হয়েছেন রঘুনাথবাড়ি রাম তারক উচ্চ বিদ্যালয়ের তুহিন বেরা, বর্ধমান মিউনিসিপাল হাই স্কুলের অরিজিৎ মন্ডল, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠের শুভজিৎ দে, পুরুলিয়া রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যাপীঠ সারদা বিদ্যামন্দিরের সুপ্রভা আদক, বাঁকুড়া মিশন গার্লস হাই স্কুলের সুপ্রভা আদক, অন্বেষা চক্রবর্তী, বিবেকানন্দ শিক্ষানিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ের ঈশান পাল, বর্ধমান সি এমএস হাই স্কুলের (ডে) রূপায়ণ পাল, বর্ধমান মিউনিসিপাল হাই স্কুলের এসকে সাঈদ ওয়াসিফ, চঞ্চল রানী দক্ষিণানী গার্লস হাই স্কুলের অনুশ্রেয়া দাস, এসি ইনস্টিটিউশনের শুভ্রজিৎ দেব।
এদিকে এবারও জেলা ভিত্তিক পাশের হারে শীর্ষস্থানে পূর্ব মেদিনীপুর। পূর্ব মেদিনীপুরে ৯৬.৮১ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন, কালিম্পঙে ৯৪.১৩ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন, কলকাতায় ৯৩.৭৫ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন। এছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরে ৯২.১৩ শতাংশ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন। উত্তর ২৪ পরগনায় ৮৯.৩৫ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৮৮.৫০ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন। তাছাড়া হাওড়ায় ৮৩.৫৯, হুগলিতে ৮৪.৬৩, ঝাড়গ্রামে ৮৬.৩৬, বাঁকুড়ায় ৭৪.৭২, পুরুলিয়ায় ৭৯.১৬, পূর্ব বর্ধমানে ৭৮.৯৪, পশ্চিম বর্ধমানে ৭৪.১৫, , নদিয়ায় ৮০.৯০, মুর্শিদাবাদে ৭৯.৪৬, বীরভূমে ৭৭.৬৭, মালদায় ৮৩.৯৩, উত্তর দিনাজপুরে ৭০.৬৬, দক্ষিণ দিনাজপুরে ৭৭.৭৬, কোচবিহারে ৭৮.৮৬,আলিপুরদুয়ারে ৭৪.০৯, জলপাইগুড়িতে ৬৭.৭৩ এবং দার্জিলিঙে ৭৮.৯৬ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছেন।