শিক্ষক দিবসে সারা দেশ যখন তাঁদের অবদান স্মরণ করছে তখন বিতর্কিত মন্তব্য রলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী। রবিবার শিক্ষক দিবসের এক অনুষ্ঠানে ‘করোনাকালে শিক্ষকরা বাড়ি বসে মাইনে পেয়েছেন’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এমনকী সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের পেশাদারিত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
রবিবার পূর্ব বর্ধমান প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি ও মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির শিক্ষক দিবস পালন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে শিক্ষকদেরই সমালোচনা করেন সিদ্দিকুল্লাহ। গ্রন্থাগার মন্ত্রী যখন এসব বলছেন তখন মঞ্চে বসে আরেক মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
এদিন সিদ্দিকুল্লাহকে বলতে শোনা যায়, ‘কোভিডে শিক্ষকরা বাড়ি বসে মাইনে পেয়েছেন। এর পর ছাত্র গড়ার দায়িত্ব কার?’ সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের সমালোচনা করে সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষকরা ক্লাসে দাঁড়িয়ে গল্প করে, মোবাইলে কথা বলেই অর্ধেক সময় কাটিয়ে দেন। এটা খুব দুঃখের ও বেদনার।’ এমনকী বেসরকারি ও গির্জা পরিচালিত স্কুল থেকে সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বলেন, ‘মিশনারি স্কুল, বেসরকারি স্কুল, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের ভাল ফলের কারণ তাদের শিক্ষক। এই স্কুলগুলি শিক্ষক, ছাত্র ও অভিভাবকদের তিনটি খুঁটি তৈরি করেছে। সরকারি নির্দেশের অপেক্ষা না করে লাগাতার অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন শিক্ষকরা।’