গত ১১ বছর ধরে পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত শেখ আমির। তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী এবং মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী তিনি। এবার একের পর এক হুমকি–ফোন পেয়ে বাধ্য হয়ে তাঁকে দুর্গাচক থানার পুলিশের দ্বারস্থ হতে হল। থানার অফিসার ইনচার্জের পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হলদিয়া) এবং এসডিপিও–র (হলদিয়া) কাছে সমস্যার সুরাহা চেয়ে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
কীসের হুমকি? চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন ধরে তাঁকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করছে। ফোনে রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। বলা হচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে খুব শীঘ্রই গাঁজা বা মাদক কেস, নয়তো জাল নোটের ভুয়ো মামলা দায়ের করা হবে। আর এর পেছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে বলে দাবি করেছেন শেখ আমির। চিঠিতে তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন যে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর বিশ্বস্ত অনুগামী। এবং তার বিরুদ্ধে এর আগে কোনও ফৌজদারি বা অপরাধ সংক্রান্ত মামলা কোনও থানায় দায়ের হয়নি। তাই পুলিশের কাছে আগাম এই পরিস্থিতির ব্যাপারে জানিয়ে একটা সুরাহা চেয়েছেন আমির।
উল্লেখ্য, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে গাঁজা বা মাদক কেস দেওয়ার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে নতুন নয়। ইদানিং কংগ্রেস ও বিজেপি–র পক্ষ থেকে শাসকদল ও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বারবার আনা হচ্ছে। কিছুদিন আগে টুইটারে ভুয়ো মামলায় রাজনৈতিক কর্মীদের নাম জড়ানো নিয়ে সরব হয়েছিলেন রাজ্যপালর জগদীপ ধনখড়ও। তিনি টুইটে বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরের কথা উল্লেখ করেছিলেন। যা বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অত্যন্ত অর্থবহ।
টুইটে রাজ্যপাল লিখেছিলেন, ‘আমার কাছে খবর এসেছে, নার্কোটিক ড্রাগ্স অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যানসেস (এনডিপিএস) আইন–সহ বিভিন্ন ভুয়ো মামলায় পূর্ব মেদিনীপুর ও রাজ্যের অন্যত্র রাজনৈতিক বিরোধীদের ফাঁসানো হচ্ছে। এটি যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়।’ রাজ্যপাল টুইটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুলিশ এবং স্বরাষ্ট্র দফতরকে ট্যাগ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘এ ধরণের অপরাধ দ্রুত বন্ধ করতে হবে। এর জন্য দায়বদ্ধ থাকবেন জেলার পুলিশ সুপাররা।’