গত রবিবার হুগলির তেলিনিপাড়ায় হিংসাত্মক কাণ্ডে ১২৯ জনকে গ্রেফতার করল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
শৌচাগার ব্যবহারকে কেন্দ্র করে ওই দিন তেলিনিপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। ঘটনার জেরে নাগাড়ে ৪-৫ দিন ধরে উত্তপ্ত থাকে এলাকা। ঘটনার জন্য রাজ্য প্রশাসনের গাফিলতিকে অভিযুক্ত করেন বিরোধী বিজেপি নেতৃবৃন্দ।
গত ১২ মে নবান্নের প্রশাসনিক বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে হুগলির জেলাশাসককে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু কিছু ব্যক্তি সাম্প্রদায়িকতার জীবাণু ছড়িয়ে হিংসাত্মক আবহ তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা করেন।
বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে টুইটারে জানানো হয়, তেলিনিপাড়ার ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এলাকায় শীর্ষস্থানীয় অফিসার-সহ বিশাল পুলিশবাহিনী টহল দিচ্ছে বলেও জানানো হয়।
উল্লেখ্য, হুগলির হিংসাত্মক ঘটনার জেরে ইতিমধ্যে ভদ্রেশ্বর থানার আইসি-কে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।