চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার সাত বছর পরেও পাননি পেনশন, গ্র্যাচুইটি বা প্রভিডেন্ট ফান্ড-এর কোনও টাকা। হতাশায় স্বেচ্ছামৃত্যু চাইছেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক।
নবদ্বীপ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের হরিজন পল্লি উদ্বাস্তু কলোনির জিএসএফ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক থাকাকালীন ১৯৯৭ সালে চাকরি থেকে সাসপেন্ড হন ঘনশ্যাম সাহারায়। পরে সেই অবস্থাতেই ২০১৩ সালে তিনি অবসরগ্রহণ করেন। কিন্তু তার পর থেকেই নিজের প্রাপ্য অর্থ থেকে তিনি বঞ্চিত হয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ।
বকেয়া অর্থ পাওয়ার আশায় তিনি একাধিক বার নবদ্বীপ আর্বান সার্কেল সাব-ইন্সপেক্টরের সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানিয়েছেন বলে দাবি ঘনশ্যামবাবুর, কিন্তু তাতে কোনও সুরাহা হয়নি।
অর্থাভাবে নবদ্বীপেরই ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের পাকাটোল এলাকায় নিজের বাড়িও ছাড়তে হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষক। তীব্র আর্থিক অনটনের ফলে রোজের খাওয়া ও ওষুধ জোটাতে তাঁর প্রচণ্ড সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বেচ্ছামৃত্যু চাইছেন অসহায় ঘনশ্যাম সাহারায়।
তাঁর দুর্দশার খবর পেয়ে জেলা প্রাথমিক স্কুল কাউন্সিল চেয়ারম্যান জ্যোতিপ্রকাশ ঘোষ উদ্যোগী হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ঘনশ্যামবাবুর সমস্যা সমাধানের জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা করা হবে। তার জন্য প্রাক্তন প্রধান শিক্ষককে বকেয়া পেনশন-সহ অন্যান্য খাতে বরাদ্দ অর্থ দাবি করে ফের আবেদনপত্র জমা দেওয়ার অনুরোধ জানাবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।