দুর্গা পুজোর ছুটির পরপরই নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য স্কুলের দরজা খুলে দিয়েছিল সরকার। এরপর মনে করা হয়েছিল যে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণীর জন্য স্কুল খোলা হবে ধাপে ধাপে। তবে এরই মাঝে দেশজুড়ে ওমিক্রন ত্রাস দেখা দিয়েছে। ক্রমেই ওমিক্রন সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। রাজ্যের এক শিশুও করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছিল। যদিও সে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে গিয়েছিল। তবে এই আবহে বাকি ক্লাসের জন্য স্কুল খোলা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা।
এর আগেই একটি বিঞ্জপ্তি জারি করে স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকদের মিড ডে মিলের সামগ্রী অভিভাবকদের বিলির নির্দেশ দিয়েছিল শিক্ষা দফতর। এবার সোমবার প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির জন্য স্কুল খোলার ইঙ্গিত দিয়ে বিকাশ ভবন নির্দেশ দিল অভিভাবকদের হাতে বই তুলে দিতে। পুস্তক সপ্তাহ পালন উপলক্ষে এই নির্দেশিকা জারি বেশ তাত্পর্যপূর্ণ। স্কুল যদি খোলা হত তাহলে মিড ডে মিলের সামগ্রী বা বই অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়ার প্রয়োজন ছিল না। তবে আপাতত স্কুল খোলা হবে না বলেই এই নির্দেশগুলো দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সরকারের তরফে স্কুল খোলা বা বন্ধ রাখার বিষয়ে বলা হয়নি।
উল্লেখ্য, দিপাবলীর পর নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খুলেছে। সেই সময় করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে থাকায় মনে করা হয়েছিল যে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর স্কুলও খুলতে পারে জানুয়ারিতে। এদিকে স্কুল না খুললেও জানুয়ারি মাসে নতুন শিক্ষাবর্ষের শুরুতে নিজের ক্লাসের পাশাপাশি আগের দুটি ক্লাসের পড়াও পড়তে হবে পড়ুয়াদের। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্কুল শিক্ষা দপ্তর। জানা গিয়েছে, প্রত্যেকটি ক্লাসের জন্যই বিষয়ভিত্তিক আলাদা করে বই তৈরি করাও ইতিমধ্যেই শেষ করে ফেলেছে সিলেবাস কমিটি।