আইনি জটিলতায় দীর্ঘদিন ধরে ১৯,৩৪০ শিক্ষক পদে নিয়োগ আটকে রয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক স্কুলগুলি। শিক্ষক সংকট কাটাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)।
মঙ্গলবার দুপুরে ই-মেল করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণনের কাছে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছে কমিশন। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ২০১৬ সালে শূন্যপদ ছিল ১৪,৩৩৯। হাইকোর্টের দু'টি স্থগিতাদেশ থাকায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায়নি বলে আবেদনে জানিয়েছে কমিশন। মামলাকারী প্রার্থীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, তাঁর মক্কেল ভানু রায়ের মামলায় অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিবেক চৌধুরী।
আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত ও বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, তাঁদের মক্কেলদের মামলা মূল মামলার সঙ্গে যুক্ত। ২০১৯ সালের ১ অক্টোবর থেকে সেই মামলায় স্থগিতাদেশ রয়েছে। আইনজীবী শামিম আহমেদ, ফিরদৌস শামিম, দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায়, সুদীপ্ত দাশগুপ্তদের বক্তব্য, ‘৭ অগস্ট বিচারপতি মৌসুমি ভট্টাচার্য কমিশনের দ্রুত শুনানির আর্জির কোনও যুক্তিকে মান্যতা দেননি। শুনানি কবে হবে, তা পরিষ্কার নয়। ৭ অগস্টের নির্দেশে তাই কমিশনকে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে আবেদন করতে হয়েছে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রচুর অনিয়ম রয়েছে তাই এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি প্রয়োজন।’
উচ্চ প্রাথমিক নিয়োগকে ঘিরে এখনও পর্যন্ত ১,৯৭৯ টি পৃথক মামলা বিচারাধীন। মোট ১৪,৭৮৫ জন মামলা করেছেন। গত ৪ বছরে মামলার জট বৃদ্ধির পাশাপাশি শূন্যপদও বেড়েছে। ৫,০০১ টি শিক্ষক শূন্যপদ বেড়েছে ওই চার বছরে। এসএসসির নিয়ম অনুযায়ী, একটি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না করলে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা যায় না। তাই নিয়োগ জট কাটাতে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন একযোগে সব মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছে কমিশন।