ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের চোখ রাঙানি পশ্চিমবঙ্গের উপরও। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেই নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। জানা গিয়েছে, রবিবার সকালের আগেই অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। তারপর উত্তর-উত্তরপূর্ব অভিমুখে বাঁক নেবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। এর জেরেই বাংলার ৬ জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা দিয়েছে আইএমডি।
আজ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে আকাশ রোদ ঝলমলে থাকবে। তাপমাত্রা সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন ৩০ ডিগ্রি ও ১৯ ডিগ্রি স্পর্শ করবে। বর্তমানে দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং আন্দামান সাগরে নিম্নচাপটি অবস্থান করছে। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে তা আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। যা বঙ্গোপসাগরের মধ্যভাগে আছড়ে পড়বে। তারপর অন্ধ্রপ্রদেশ, দক্ষিণ ওড়িশা উপকূলে রবিবার সকালের মধ্যে আছড়ে পড়বে। তারপর উত্তর-উত্তরপূর্ব অভিমুখে বাঁক নেবে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ। এর প্রভাবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ সকাল থেকে রোদ ঝলমলে আকাশ কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা। তবে আগামিকাল এই সময়ে আকাশের রূপ পুরো বদলে যাবে বলে শঙ্কা। বাংলায় এই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে না পড়লেও তার প্রভাব পড়বে ব্যপক। শনিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়কালে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট থাকবে বেশি। ৩ তারিখ থেকে উপকূলবর্তী জেলা দুই ২৪ পরগণা, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়ায় অল্প বৃষ্টি শুরু হতে পারে। ৪ তারিখ বৃষ্টির দাপট বাড়বে সমস্ত জেলাতেই। ৪ তারিখ আরও খানিকটা বাড়বে বৃষ্টির দাপট। ৬ তারিখও বৃষঅটি থাকবে দক্ষিণের জেলাগুলিতে।
ইতিমধ্যেই আলিপুর আবহাওয়া অফিস তাদের বিশেষ বুলেটিনে সচেতন করেছে। বাংলার উপকূল এলাকাগুলিতে আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যে সমুদ্রের অশান্ত রূপ দেখা যাবে। হাওয়া অফিসের তৃতীয় বুলেটিনে বলা হয়েছে, বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বর্ষণ শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এদিকে আবহবিদরা জানিয়েছেন, আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের জন্যই থমকে গিয়েছে শীতের আগমনের গতি৷ চড়ছে তাপমাত্রার পারদ৷