কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশি ছাত্রীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ ও খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এ বিষয়ে সমস্ত পক্ষের সঙ্গে কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন। মহিলা কমিশনে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি নির্যাতিতা বাংলাদেশ হাই কমিশন এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাছেও এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন।
ওই ছাত্রীর দাবি, অধ্যাপকের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। কিন্তু, বেশ কয়েকমাস আগেই তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এরপর অবসাদে ছাত্রীটি আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সেই সময় একটি নার্সিংহোমে ভরতি থাকার সময় ওই অধ্যাপক নার্সিংহোমের মধ্যেই তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ জানান। পরে অধ্যাপক একটি এসএমএস পাঠিয়ে ছাত্রীকে খুন করার হুমকি দেন। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমরা অভিযুক্তের জামিন বাতিল এবং ছাত্রীকে নিরাপত্তা দেওয়ার সুপারিশ করেছি। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সঠিক তদন্তের পর নির্যাতিতাকে ন্যায়বিচার দিতে হবে।’
এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপে অসন্তোষ প্রকাশ করেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। মেয়েদের হোস্টেলে অধ্যাপক যাতে কোনওভাবেই প্রবেশ করতে না পারে সেবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নজর দিতে বলেছেন তিনি। এছাড়াও, এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগীয় পদক্ষেপ করেনি। পাশাপশি, অভ্যন্তরীণ অভিযোগ কমিটি কোনও রিপোর্ট জমা দেয়নি। এনিয়ে ইসির বৈঠকও হয়নি। পাশাপশি বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশকেও বিষয়টি জানায়নি। এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কমিশনের চেয়ারপার্সন। তিনি বলেন, ‘ওই তরুণীর অভিযোগ, নার্সিংহোমের চত্বরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে এই ধরনের কোনও ঘটনা তাদের জানা নেই। আমি এটি খুব অদ্ভুত বলে মনে করেছি। বর্তমানে আতঙ্কে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে ভয় পাচ্ছেন নির্যাতিতা। তিনি অনলাইনে ক্লাস করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup