সোমেন মিত্রের মৃত্যুর পর লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরীকেই পরবর্তী পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি হিসেবে দেখতে চেয়েছিলেন আবদুল মান্নান–সহ অনেকে। এর পরই ৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার রাতে অল ইন্ডিয়া কংগ্রেস কমিটির তরফে প্রকাশিত এক নির্দেশিকায় অধীর চৌধুরীকেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে নিয়োগ করা হয়।
এই ঘোষণার পরপরই নবনিযুক্ত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে ফেসবুক ও টুইটারে এ ব্যাপারে অভিনন্দন জানিয়ে প্রয়াত সোমেন মিত্রের ছেলে যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি রোহন মিত্র লিখেছেন, ‘দলের এক কর্মী হিসেবে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও মতাদর্শের দিক থেকে সক্রিয়ভাবে লড়াই করতে আমি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ একইসঙ্গে দলের প্রতি বাবা সোমেন মিত্রের ভালবাসা ও অবদান উল্লেখ করার জন্য জাতীয় কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীকে অপরিসীম কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন রোহন।
আপাতত একেবারে পিছনের সারিতে দাঁড়িয়ে দলের এক কর্মী হিসেবেই কাজ করে যেতে চান যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি রোহন মিত্র। রবিবার ‘হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা’–কে এমনই জানালেন তিনি। তবে সম্প্রতি দলবদল করে কংগ্রেসে ভিড় করার জিগির দেখে একটা আশঙ্কা এদিন প্রকাশ করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘দলে নতুন লোক আসছে ভাল কথা। কিন্তু বিজেপি বা অন্য যে কোনও দল থেকে যাঁরা এলেন, তাঁদের যেন দল আপাতত পিছনের সারিতেই রাখে। যাঁরা বহু দিনের কর্মী, দলের হয়ে ঘাম ঝরিয়েছেন, তাঁরা যেন দলে বিশেষ জায়গায় পৌঁছনোর সুযোগটা আগে পায়। যাঁরা নতুন এলেন, তাঁরা আগে কিছুদিন দলের পতাকা নিয়ে মিছিলে ঘুরুক। তার পর না হয় তাঁদের যোগ্য পদ বা স্থান দেওয়া যাবে।’
রোহন বলছিলেন, ‘আমিও ২০১৫–তে একেবারে পিছন থেকে শুরু করেছিলাম। আজ যুব কংগ্রেসের সহ সভাপতি পদে পৌঁছেছি। তবে নিজেকে সামান্য কর্মী হিসেবেই দেখি। বাবা ২০১৩ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কোনও পদে ছিলেন না। ২০১৭–তে এআইসিসি–তে জায়গা পান। তার পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। এমনই হওয়া উচিত। ধাপে ধাপে।’
বাবা সোমেন মিত্রকে হারানোর শোক এখনও বয়ে বেরাচ্ছেন রোহন। নিজেই বললেন, ‘মা আর আমি এখনও একটা মানসিকভাবে দুর্বল পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। এ সময়ে রাজনৈতিক দিক থেকে আমি কোনও বিতর্কে পড়তে চাই না। শুধু নিজের কাজটুকু করে যেতে চাই।’