আজ, সাধারণতন্ত্র দিবসের দিনই এল খারাপ খবর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা এলাকায় স্কুলের সহপাঠিনীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল পড়ুয়ার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। কারণ ধর্ষণের মতো ঘটনা স্কুল স্তরে চলে আসায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই স্কুল পড়ুয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যেতেই ওই এলাকায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তবে এই ঘটনা কয়েকদিন আগেই ঘটেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে কয়েকদিন আগে ডেবরার একটি স্কুলে স্পোর্টস ইভেন্ট ছিল। সেখানে উপস্থিত হয়েছিল ওই পড়ুয়া। আর সেখানে হাজির হয় ওই ছাত্রীও। তখন একজন আর একজনের সঙ্গে কথাও বলেছে। এই কথা বলার ফাঁকে ওই সহপাঠিনীকে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। তারপর ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর ছাত্রীটি সংজ্ঞা হারায়। তারপর কোনওরকমে ওই নির্জন জায়গা থেকে উঠে দেখে কেউ কোথাও নেই। ধীরে ধীরে ওই ছাত্রী বাড়ি ফিরে যায়। এই পরিস্থিতি দেখে পরিবারের সদস্যরা জানতে চান, কোথায় সে ছিল? এমন কেন লাগছে তাকে? জবাবে সব ঘটনা খুলে বলে নির্যাতিতা ছাত্রী।
আরও পড়ুন: আম আদমি পার্টি নিয়ে এল নয়া পোস্টার, তালিকায় রাহুল গান্ধীকে ‘অসৎ’ উল্লেখে সরগরম
ওই অভিযুক্ত পড়ুয়া ছাত্রীকে যে নির্জন জায়গায় ধর্ষণ করেছে সেটা স্কুল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। ছাত্রীকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই পড়ুয়াকে। নির্যাতিতা ঘটনাটি তার পরিবারকে জানালে ডেবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এবার ওই অভিযুক্ত ছাত্রকে আদালতে তোলা হবে। বিচারক ঠিক করবেন কোন শাস্তি তাকে দেওয়া যায়। সহপাঠিনী ও পড়ুয়া দু’জনেই নাবালিকা এবং নাবালক বলে সূত্রের খবর।
স্কুলের বাইরে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় শিউরে উঠেছেন স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকারা। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে ডেবরা থানার পুলিশ। শনিবার বেশি রাতে ওই অভিযুক্ত পড়ুয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ, রবিবার দুপুরে ওই ছাত্রকে মেদিনীপুর আদালতে পাঠানো হয়। ডেবরা থানার পুলিশ গোটা ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে কোনও পক্ষই মুখ বিশেষ খোলেনি। অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার পরিচয়ও প্রকাশ করা হয়নি। পুলিশ তদন্তের স্বার্থে গোপন রেখেছে।