জায়গাটি সেচ দফতরের। সুতরাং রাজ্য সরকারের জায়গা। আর সেখানেই সিপিএমের অস্থায়ী কার্যালয় তৈরি করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সিপিএম সরকারে থাকার সময় থেকে এই অস্থায়ী কার্যালয় গড়ে তুলেছিল বলে অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর ২ নম্বর ব্লকের রানিচক এলাকার ওই কার্যালয়ে চলত বৈঠক থেকে শুরু করে স্ট্র্যাটেজি। আজ, মঙ্গলবার সেই সিপিএমের অস্থায়ী পার্টি অফিস বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দিল জেলা প্রশাসন। আর তাতেই সিপিএম নেতাদের মনে ব্যথা লেগেছে বলে খবর। তবে আইন মেনেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবি করা জানানো হয়েছে। আর চক্রান্তের অভিযোগ সিপিএমের।
সরকারি জমি দখল করে পার্টি অফিস গড়ে তোলা বেআইনি। সম্প্রতি কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে এই বিষয়ে নালিশ ঠুকে আসেন। আর তাঁর নজরেও আনেন। বিষয়টি নিয়ে তখন খোঁজখবর করা হয়। আর তা করতেই বেরিয়ে আসে, সরকারি জমিতে বেআইনিভাবে সিপিএম পার্টি অফিস তৈরি করেছিল। আর তারপরই আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হল। প্রশাসন এই ব্যাপারে বিস্তারিত অনুসন্ধান করার পর অভিযোগের সত্যতা পেতেই বুলডোজার দিয়ে তা গুঁড়িয়ে দিল। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুব্রত মণ্ডলের চরণ–যুগল ছুঁয়ে প্রণাম করলেন কাজল শেখ, বীরভূমে রাজনীতির হাওয়া–বদল
আজ মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের নির্দেশ পেয়ে দাসপুর থানার পুলিশ বাহিনী, সেচ দফতরের অফিসাররা, দাসপুর ব্লকের বিডিও–সহ প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হল রানিচক এলাকার ওই অফিস। এখন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুরে সিপিএমের জেলা সম্মেলন হয়েছে। তার মধ্যেই এমন খবর পেয়ে সিপিএম নেতারা বেশ ক্রুদ্ধ। তাই সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিজয় পাল বলেন, ‘গত ৬ জানুয়ারি মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের মিছিলে এলাকার বহু মানুষ যোগ দেন। তাই শাসকদল ঘাবড়ে গিয়ে এই চক্রান্ত করেছে।’
কিন্তু এই জমি সরকারি কিনা সেটা নিয়ে তিনি কোনও বাক্য খরচ করেননি। এমনকী বেআইনিভাবে তা গড়ে উঠেছিল কিনা সেটা নিয়েও কিছু বলেননি। যার জন্য পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অনিল রানার বক্তব্য, ‘সিপিএমের এই কার্যালয় সরকারি জায়গায় ছিল। সব নিয়ম মেনেই যেটা করার সেটা করা হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ আর তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আশিস হুদাইতের কথায়, ‘ওই পার্টি অফিসটি সেচ দফতরের জায়গায় ছিল। কংক্রিটের বাড়ি হচ্ছিল। প্রশাসন পদক্ষেপ করেছে। সিপিএম তো এমনিতেই শূন্য। নতুন করে শূন্য করার কি কোনও প্রয়োজন আছে?’