একসময় জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে আপত্তি তুলে শোকজ পেতে হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। সেই বাবুল আজ রাজনীতি ছাড়ার কথা বলায় কী ভাবছেন একদা শত্রু থেকে সহকর্মী হওয়া জিতেন্দ্র? এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে জিতেন্দ্রর স্পষ্ট দাবি, তাঁর সঙ্গে কখনই ব্যক্তিগত সম্পর্ক খারাপ ছিল না। আসানসোলের সাংসদ হিসাবে তাঁর এখনও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। পাশাপাশি এই বিদায়ের কারণ সঠিক ভাবে জানেন না বলেও জানান জিতেন্দ্র।
তাঁর ফেসবুক পোস্টের খবর সংবাদমাধ্যমে দেখি। কোনও ভাবেই এই ঘটনা আসানসোলের জন্য ভালো হয়নি। গত ২৬ তারিখ তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছিল। সেই সময় আমি জানতে চেয়েছিলাম যে তিনি কবে আসছন। তখন উনি জানিয়েছিলেন, তিনি এসে আবার একসঙ্গে ঘুরবেন। কেন এটা হল জানি না। যতক্ষণ কথা না হচ্ছে ততক্ষণ তো আমি কোনও কিছুই বলতে পারব না। তবে উনি রাজনৈতিক পরিসরে থাকলেই ভালো হয়।
জিতেন্দ্র আরও বলেন, 'সাংসদ হিসাবে আসানসোল হিসাবে তাঁর অনেক দেওয়া আছে। আমি চাই যাতে উনি সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দেন। তিনি যেন রাজনীতি না ছাড়েন। কী কারণে এটা হল তা তো সঠিক ভাবে উনি বলতে পারবেন। আমিও কারণ জানার চেষ্টা করব। আমরা চাইব, উনি যাতে সাংসদ পদে থেকে যান।'
২০১৪ সাল থেকে বাংলায় পদ্ম ফোটানোর ক্ষেত্রে দিলীপ ঘোষ বা অন্যান্য রাজ্য নেতাদের মতো তাঁর ভূমিকাও কোনও অংশে কম ছিল না। মূলত এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই দু'বার তাঁকে মন্ত্রী করেছে বিজেপি। কিন্তু মন্ত্রিত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা বলার পরই যেভাবে তিনি রাজনীতি থেকে সরে গেলেন, সে বিষয়ে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে বাবুল সুপ্রিয়র দূরত্ব ক্রমাগত বাড়ছিল। এই মনোমালিন্যর বিষয়টি সর্বজনবিদিত। দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যখন তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করতে বলেন, তখন সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য বাবুলকে আহত করে থাকলে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই আবহে দিলীপ ঘোষ বাবুলের রাজনীতি ছাড়া প্রসঙ্গে প্রাথমিক ভাবে প্রতিক্রিয়া দিতে অস্বীকার করেন।