গোটা উত্তরবঙ্গ জুড়ে একের পর এক শিশু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। এনিয়ে ক্রমেই উদ্বেগ বাড়ছে। জলপাইগুড়ির পর মালদাতেও নতুন করে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। এর মধ্যে তিনজন শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে মালদা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি তাদের একেবারে শেষ সময়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। এদিকে অভিভাবকদের একাংশের অভিযোগ, হাসপাতালের শিশু বিভাগে গাদাগাদি ভিড়। চিকিৎসা ব্যবস্থাও যথাযথ হচ্ছে না। প্রয়োজনের তুলনায় চিকিৎকের সংখ্যাও যথাযথ নেই। এদিকে এনিয়ে শোরগোল পড়তেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলেনে গোটা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খোলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য হাসপাতালের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে।
শিশু বিভাগের প্রধান ডাঃ সুষমা সাহ বলেন, যা যা করণীয় সবটাই করছি। কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে না। করোনা পজিটিভ কাউকে পাওয়া যায়নি। ১৬ তারিখ মধ্যরাত থেকে এখন পর্যন্ত ভর্তি রয়েছে ১৬৪জন। বেশিরভাগের মধ্যেই জ্বর রয়েছে। কিন্তু সেটা অজানা জ্বর, জ্বরের কিনারা করতে পারছি না এমনটা নয়। জ্বরে কেউ মারা যায়নি। দুজনের নিউমোনিয়া, একজনের ডিহাইড্রেশন হচ্ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় একেবারে শেষ সময়ে নিয়ে আসা হয়েছিল।
একই বেডে একাধিক শিশুর চিকিৎসা করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের সিট ক্যাপাসিটি ১২০জনের। ২৬৪জনও ভর্তি হতে পারে। তবে এরকম নয় যে কাউকে বিদায় করে দেওয়া হবে। রোগীদের সবরকম টেস্ট করা হচ্ছে। অ্যাকিউট ব্রঙ্কালাইটিস। ভাইরাল ফিভার। আতঙ্কের কোনও ব্যাপার নেই। সিরিয়াস কনডিশন তো থাকবেই। ১০-১২জন তো সিরিয়াস আছে। পরিস্থিতি একেবারে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ২০১৯য়ে ২২০জন অসুস্থ শিশুকে নিয়ে ডিল করেছি। স্বাস্থ্য ভবনের কাছে জানানো হয়েছে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এটা অস্বাভাবিক কিছু নাকি?
এদিকে উত্তরবঙ্গের জনস্বাস্থ্য বিভাগের ওএসডি সুশান্ত রায় বলেন, ৪১জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলাম। তিনজনের শরীরে ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাস,তিনজনের শরীরে আরএসভি ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জ প্রতিবছরই হয়। সেটাই হয়েছে।