পরকীয়ায় জড়িয়ে স্ত্রীকে মার ধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ ৭০ বছরের বৃদ্ধের বিরুদ্ধে। শীতের রাতে উপায়ন্তর না দেখে থানায় হাজির হন বৃদ্ধা। বৃদ্ধার অভিযোগের ভিত্তিতে শ্রীকান্ত সরকার নামে ওই বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের কর্ণজোড়া থানা এলাকার শেরপুর পঞ্চায়েত এলাকার। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
শেরপুর পঞ্চায়েতের খোকসা গ্রামের বাসিন্দা শ্রীকান্ত সরকারের স্ত্রী ঊষারানিদেবীর দাবি, তাঁদের দাম্পত্যজীবন প্রায় ৪০ বছরের। সম্প্রতি স্থানীয় এক মহিলার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়ান তাঁর স্বামী। বিষয়টি কিছুদিন পর জানতে পারেন তিনি। প্রতিবাদ করলে শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। এমনকী শ্রীকান্তবাবু তাঁর গলা টিপে ধরেন বলেও দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী। সোমবার আমাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। তার পর আমার কাছে পুলিশে অভিযোগ করা ছাড়া উপায় ছিল না।
অভিযোগ পেয়ে শ্রীকান্তবাবুর বাড়িতে গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেন পুলিশ আধিকারিকরা। তাঁর বিরুদ্ধে বধূনির্যাতনসহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে পেশ করলে বয়সের কথা ভেবে বিচারক তাঁকে জামিন দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও ঊষারানিদেবী স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে মৌখিক অভিযোগ করেছিলেন। এর পর শ্রীকান্তবাবুকে বোঝানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে কোনও কাজ হয়নি। ঊষারানি দেবীর আইনজীবী বলেন, ‘ওনার আবার বিয়ে করতে ইচ্ছা করলে আইন মেনে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে করুন। কিন্তু স্ত্রীর ওপর অত্যাচার করবেন কেন? পুলিশ মামলা করেছে। বৃদ্ধের বয়সের কথা ভেবে বিচারক জামিন দিয়েছেন। কিন্তু আমরা ছাড়ব না।’