সাক্ষাৎ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন তাঁরা। এখনও চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। এই যেমন ঋষভ মিশ্র। লখনউএর বাসিন্দা। এস-৬ কামরায় ছিলেন তিনি। কানপুর থেকে গুয়াহাটি যাচ্ছিলেন তিনি। তাঁর মুখেই শোনা যাক সেই ভয়ঙ্কর মুহূর্তের কথা। তিনি বলেন, জলপাইগুড়ি রোড স্টেশনটা পেরিয়ে দ্রুত ছুটছে ট্রেনটা। আচমকাই একটা ঝাঁকুনি। ওপরের বার্থে যারা ছিলেন সব নীচে পড়ে যান। ফের একটা ঝাঁকুনি। তখন সকলেই মেঝেতে ছিটকে পড়েন। পরের ঝাঁকুনিতে সব শেষ। বিকানির গুয়াহাটি এক্সপ্রেসের সেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে গলা শুকিয়ে আসে তাঁদের। অন্তত ৯জনের মৃত্যু হয়েছে এই দুর্ঘটনায়। ৩৬জন জখম হয়েছেন। দুমড়ে, মুচড়ে গিয়েছে ট্রেনটা।
ট্রেন চালক প্রদীপ কুমারের অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন ছিল? তিনি বলেন, সমস্ত সিগন্যাল সবুজ ছিল। স্টেশন মাস্টারও এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দিয়েছিলেন।সামনের সিগন্যালের দিকে যখন এগোচ্ছি আচমকাই জোরে একটা ঝাঁকুনি। একটা বড়সর ঝাঁকুনি। এরপরই তিনি এমার্জেন্সি ব্রেক চেপে ধরেন। থেমে যায় ট্রেনটা। জানালা দিয়ে বাইরে উঁকি দেন চালক। দেখেন যেন ধুলোর ঝড় উঠেছে। আর দেরি করেননি চালক। দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে তিনি পেছনের দিকে ছুটতে শুরু করেন। দেখেন দেশলাই বাক্সের মতো ট্রেনটা ওলটপালট হয়ে গিয়েছে।
ট্রেন চালক প্রদীপ কুমারের অভিজ্ঞতা ঠিক কেমন ছিল? তিনি বলেন, সমস্ত সিগন্যাল সবুজ ছিল। স্টেশন মাস্টারও এগিয়ে যাওয়ার সংকেত দিয়েছিলেন।সামনের সিগন্যালের দিকে যখন এগোচ্ছি আচমকাই জোরে একটা ঝাঁকুনি। একটা বড়সর ঝাঁকুনি। এরপরই তিনি এমার্জেন্সি ব্রেক চেপে ধরেন। থেমে যায় ট্রেনটা। জানালা দিয়ে বাইরে উঁকি দেন চালক। দেখেন যেন ধুলোর ঝড় উঠেছে। আর দেরি করেননি চালক। দ্রুত ট্রেন থেকে নেমে তিনি পেছনের দিকে ছুটতে শুরু করেন। দেখেন দেশলাই বাক্সের মতো ট্রেনটা ওলটপালট হয়ে গিয়েছে।
|#+|
কেরলের বাসিন্দা সিদ্ধার্থ বলেন, এস ৩ কামরায় ছিলাম।চোখের সামনে দেখলাম যাত্রীগুলো মারা গেলেন। ভাবতে পারছি না। স্থানীয় উত্তর মোয়ামারির বাসিন্দা কৃষ্ণা দাস বলেন, আলু কেনার জন্য রাস্তায় বেরিয়েছিলাম। চোখের সামনে দেখলাম ট্রেনটা উলটে গেল। একজন জখম যাত্রী আমার হাতের উপর মারা গেলেন। কোচবিহারের যাত্রী গৌতম বর্মন বলেন, বাথরুমের সামনে ছিলাম। অল্পের জন্য বেঁচে গেলাম।