পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর থেকে কার্যত নির্লিপ্ত বহরমপুরের কলেজ ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনে অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরী। পুলিশের কাছে অনেক কথা স্বীকারও করেছে সে। এদিকে সূত্রের খবর সুশান্ত পুলিশের কাছে জানিয়েছেন অপর একজনের সঙ্গে সুতপা ঘুরছে, শপিং মলে যাচ্ছে এটা মন থেকে মানতে পারছিল না সুশান্ত। এরপরই প্রতিহিংসার আগুন জ্বলতে থাকে তার মধ্যে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে সুশান্ত মাঝেমধ্যে পটনায় থাকত। অত দূর থেকে সে কীভাবে সুতপার গতিবিধির উপর নজর রাখত?
এনিয়ে সুতপার বাবাও প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমার মেয়ের নানা রকম তথ্য কোথায় থাকে, পড়তে যায়, কোথায় যায়, কলেজে কখন যায়, কোন গেট দিয়ে ঢোকে, মোবাইল নম্বর, কেউ দিত সুশান্ত চৌধুরীকে। এখানেই প্রশ্ন উঠছে তবে কি সুতপার কোনও বান্ধবী বা পরিচিত কেউ সুতপা সম্পর্কে খোঁজ দিতেন?
এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, একেবারে অনুতপ্ত নয় সুশান্ত। হাসতে হাসতে পুলিশের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে সে। এমনকী কিছুদিন ব্রেক আপ থাকার পরে ইদানিং নাকি সুতপা যোগাযোগ রাখত সুশান্তর সঙ্গে। তবে সুতপার পরিবারের দাবি, সুশান্ত ডাহা মিথ্যা কথা বলছে। তবে সূত্রের খবর সুতপার সঙ্গে অপর এক যুবকের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারেও কথাবার্তা হচ্ছিল। সম্ভবত সেই আক্রোশও জমা হচ্ছিল। তবে পুলিশের দাবি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুজব রটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে পুলিশ ইতিমধ্যেই দুটি এফআইআর করেছে।
এদিকে সুশান্তর মা জানিয়েছে, ওর সঙ্গে অনেকদিন ধরে সম্পর্ক। আমরা ছেলেকে শাসন করতাম। পরে ছেলেটা বলছিল আমাকে মেয়েটা ফোন করছে। মেয়েটার জন্যই ছেলেটা পাগল হয়ে গেল।